মোঃ নাসিম, নাচোল (চাঁপাইনবাবগঞ্জ) :-
চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুস ছালাম এর বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতার বিরুদ্ধে ও ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে।সোমবার(০৩.০২.২০২০) দুপুরে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রশাসক বরাবর এ অভিযোগ করেছেন ১২জন ইউপি সদস্য ।
অভিযোগপত্রে ১২জন ইউপি সদস্য অভিযোগ করেছেন যে, বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান উপনির্বাচনে নির্বাচিত হয়ে শপৎ গ্রহনের পর ১ম অধিবেশনে সকল সদস্যদের নিয়ে আলোচনা সাপেক্ষে বিভিন্ন সিদ্ধান্ত গ্রহন করেন। এরপর ১বছর অতিবাহিত হলেও কোন মিটিং আহবান করেননি। ইউপি সদস্যরা বারবার তাগাদা দিলেও কোন ধরনের অগ্রগতি হয়নি।
অভিযোগকারীরা অভিযোগলিপিতে আরো উল্লেখ করেছেন, ইউনিয়ন পরিষদের সকল সদস্যের ২০১৭ সালে সেপ্টেম্বর মাস হতে ২০২০সালের জানুয়ারী মাসের অর্থ্যাৎ ২৯ মাসের সম্মানিভাতা পরিষদের কাছে পাওনা রয়েছে। ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুস ছালামের নিকট এ ভাতা চাইতে গেলে সদস্যদের ওপর চড়াও হন। সেই সাথে পরিষদ থেকে বরখাস্ত করার হুমকি দেন। এছাড়া রাজস্ব/এডিপির প্রকল্পসমূহ সদস্যদের সাথে আলোচনা না করে তার মতাদর্শের জনৈক সদস্যকে প্রকল্প সভাপতি করে ২০% লভ্যাংশে কাজ করান। ১%এর টাকার বিপরীতে চেয়ারম্যান নিজেই ইচ্ছামত প্রকল্প তৈরি করে টাকা উত্তোলন করেন। মিটিং এর সিদ্ধান্ত ছাড়াই গাড়ির ট্যাক্স/নন হোল্ডিং ট্যাক্স, ট্রেড লাইসেন্স ও ওয়ারিশনের টাকা উত্তোলন ও ব্যয় করেন। যা ইউপি সদস্যরা জানেনা। ইটভাটার বকেয়াসহ ৭বছরের ট্যাক্সের ৫লক্ষ টাকা আদায় কোন খাতে ব্যয় করেছেন তা সদস্যরা কেউ জানেনা। সভায় কোন সদস্যদের সিদ্ধান্ত ছাড়াই তিনি ৩জন গ্রাম পুলিশ নিয়োগ প্রদান করেছেন। এলজিএসপির অধিকাংশ টাকা চেয়ারম্যান নিজের খেয়াল খুশি মত বরাদ্ধ দেন। কোন ক্ষেত্রে সদস্যদের দিয়ে বরাদ্ধ বাস্তবায়ন করানো হলে সদস্যের নিকট থেকে ২০%উৎকোচ নিয়ে থাকেন।
এছাড়া হাট, ঘাট, খোয়ার থেকে আয়কৃত টাকা কোন হিসাব দেওয়া হয়না। ভিজিএফ, ভিজিডি’র বরাদ্ধকৃত চাউল ইউপি সদস্যদের মাধ্যমে বিতরণ না করে বহিরাগত লোকজন দিয়ে বিতরণ করেন। তাছাড়া ভিজিডির বরাদ্ধকৃত চাউল কোন দরিদ্র ব্যক্তি যদি নির্ধারিত মাসে উত্তোলন করতে না পারলে পরের মাসে থাকে ওই চাউল প্রদান করা হয়না। কয়েক মাস আগে জি.আর এর উত্তোলকৃত চাউল কী হয়েছে তা ইউপি সদস্যরা অবগত নন। তাছাড়া উপজেলা পরিষদ থেকে বরাদ্ধের বিষয়ে সদস্যদের জানানো হয়না বলে অভিযোগলিপিতে উল্লেখ করেছেন।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে নাচোল ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুস ছালাম এর মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন,আমার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ করা হয়েছে তা ভিত্তিহীন। প্রকল্পের টাকা ইউপি সদস্যরাই আত্মসাৎ করেছে তা আমি প্রমান করে দিব।আমি নির্বাচিত হওয়ার ৯মাসের মধ্যে ইউপি সদস্যদের ৩ মাসের সম্মানি ভাতা প্রদান করেছি।
এ বিষয়ে নাচোল উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাবিহা সুলতানার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন অভিযোগের বিষয়টি নিয়ে সকল ইউপি সদস্যরা সোমবার বিকালে আমার কাছে এসেছিলো। বিষটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
