এমরান হোসেন সুজন ; চট্টগ্রাম :-
বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া করোনা ভাইরাস ইতোমধ্যে বাংলাদেশেও মহামারী রুপ ধারন করেছে। এতে প্রতিদিন মৃতের সংখ্যা ও আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। এই সংক্রমণ ঠেকাতে সরকার নানা পদক্ষেপ হাতে নিয়েছে।
দেশব্যাপী অঘোষিত লকডাউনের পাশাপাশি নির্দেশ দেয়া হয়েছে নিরাপদ সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখার। কিন্তু সবাইকি মানছে এসব নির্দেশনা???
কেউ কেউ মানলেও আবার অনেকেই মানছে না সমাজিক দুরত্ব। সন্ধ্যা ৬ টা থেকে সকাল ৬ টা পর্যন্ত লকডাউন ঘোষণা করা হলেও এ ঘোষণা তেমন কোন সাড়া দিচ্ছে না জনগণ।
সন্ধ্যার পর রাস্তা ঘাট ফাঁকা দেখা গেলেও পাড়া মহল্লায় এর ভিন্নরূপ। সন্ধ্যার পর পাড়ায় পাড়ায় জনসমাগম আরো বৃদ্ধি পায়। তবে এসময় ৪০ থেকে ৭০ বছর বয়সীরা বাসায় অবস্থান করে, কিন্তু ১৫ থেকে ৩৫ বছর এর তরুনদের আনাগোনা অলি গলিতে চোখে পড়ার মত। বেশির ভাগ উঠতি বয়সী যুবক ও তরুন প্রজন্মরা পাড়া মহল্লার অলি গলিতে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে এসময়। এদের লাঘব টানবে কে?
পুলিশ বা সেনাবাহিনীর সদস্যরা যখনই অলিগলিতে প্রবেশ করে ঠিক তখনই এসব যুবক, তরুণ প্রজন্ম এদিক দিক ছুটাছুটি করে পালাতে শুরু করে। কিন্ত আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য চলে গেলে আবার ৫ থেকে ৬ মিনিটে গ্রুপ করে আবার আড্ডা শুরু হয়।
এসব যুবকরা অনলাইন গ্রুপে একজন আরেকজনকে আড্ডার লোকেশন জানায়।মোটামুটি সন্ধ্যা ৭ টার ভিতরে তারা জড়ো হয়। শুধু এলাকা ভিতর নয়, বিভিন্ন পাড়ারো বন্ধু থাকে তাদের।
প্রতিবেশি কিংবা পরিবার গুলো তাদের দমাতে পারছে না, কারণ একবার বারণ করলে পরেরদিন আরো বেশি লোক নিয়ে হাজির হয়ে প্রতিবেশিদের সাথে তাদের প্রভাব বিস্তার করতে পারে এমন আচরণ বুঝনার চেষ্টা করে।
কিছু সচেতন মানুষ শুভ সকাল কে জানান সন্ধ্যার পর তরুণ যুবক দের আড্ডা কোন ভাবে কাম্য নয়, এতে সংক্রমণ এর ঝুঁকি থাকে বেশি এবং করোনা ভাইরাস এর পাদুর্ভাবও বাড়তে পারে।
বিএমএসএফ চট্টগ্রাম জেলা সভাপতি কে এম রুবেল এক প্রশ্নের জবাবে মুঠোফোনে বলেন, এ ধরনের উশৃংখল যুবকদের আইনের আওতায় আনা উচিত বলে আমি মনে করিন। তিনি আরো বলেন, এসময় সরকারের উচিত ২৪ ঘন্টায় ৭ ঘন্টা বাজার গুলো খোলা রেখে বাকি ১৭ ঘন্টা কারফিউ দেওয়া উচিত। শুধু ঔষধ এর দোকানগুলো খোলা থাকবে, হাসপাতালগুলো খোলা থাকবে। এ ছাড়া অন্য সব কিছু কারফিউর আাওতায় আনা উচিত বলে মনে করেন তিনি।
তিনি আরো বলেন বিভিন্ন পাড়া মহল্লায় কিছু কমিটি থাকে তারা আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে সমন্বয় করে আরো জোড়ালো প্রতিরোধ করতে পারে। তাহলে দেখবেন সমাজের মানুষ গুলোর উপকার হবে তেমনিই করোনা সংক্রমণ রোধ করা সম্ভব হবে। করোনা থেকে মানুষেরদের বাঁচাতে আই ই ডি সি আর এর উদ্যোগ ঘরে থাকুন সুস্থ থাকুন তা সফল হবে বলে তিনি আশা করেন।