নিজস্ব প্রতিবেদক :-
বৈশ্বিক মহামারীতে এক কঠিন সময় পার করছে বাংলাদেশ। প্রতিদিনই করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে জ্যামিতিক হারে। আর এ পরিস্থিতিতে ঢাকার পরই সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় রয়েছে বন্দর নগরী চট্টগ্রাম। বর্তমানে এখানে রোগী সনাক্ত হয়েছেন সাড়ে তিন হাজারেরও বেশি। যা প্রতিদিনই বাড়ছে। এরই মাঝে মরার উপর খড়ার ঘা হয়ে দেখা দিয়েছে এখানকার স্বাস্থ্য ব্যবস্থার। নানা অজুহাতে সরকারী নির্দেশনা উপেক্ষা করে চিকিৎসা কার্যক্রম সীমিত রেখেছে অধিকাংশ হাসপাতাল, ক্লিনিক। প্রয়োজনীয় জরুরী চিকিৎসা না পেয়ে সীমাহীন দুর্ভোগে পড়েছেন বন্দর নগরীর বাসিন্দারা। এরই মাঝে চিকিৎসা না পেয়ে মারা গেছেন শিল্পপতি, ব্যবসায়ী, শিক্ষকসহ নানা পেশার মানুষ। এসবের বিরুদ্ধে বাধ্য হয়ে মাঠে নেমেছেন চট্টগ্রামের সর্বস্তরের মানুষ। তবে আন্দোলন সংগ্রামেও পাল্টায়নি চিত্র।
এই যখন জাতীয় দুর্যোগের চট্টগ্রামের চিত্র তখন,
নগরপিতা আ জ ম নাসির উদ্দীন ব্যাক্তিগত ব্যবহারের জন্য কিনেছেন আড়াই কোটি টাকা মূল্যের রেঞ্জ রোভার গাড়ি। যা কাটা গায়ে নুনের ছিটার মত হয়েছে চিকিৎসা সেবা নিয়ে চরম অস্থিরতায় বিধ্বস্ত নগরবাসীর। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সৃষ্টি হয়েছে বিরুপ প্রতিক্রিয়ার। চলছে নানামুখী সমালোচনা।কেউ লিখেছেন পিসিআর মেশিনের অভাবে যেখানে দিনের পর দিন অপেক্ষার প্রহর গুনতে হচ্ছে মানুষকে,সেখানে জনপ্রতিনিধিরা চড়ে কোটি টাকার গাড়িতে। মানুষের জীবনমৃত্যুর চেয়ে তাদের কাছে বিলাসিতাই বেশি গুরুত্বপূর্ণ।কেউ লিখেছেন, রেঞ্জ রোভার নয়, আইসিইউ আর ভেন্টিলেটর চাই। একজন শিক্ষক লিখেছেন, দীর্ঘ লকডাউনের কারনে শ্রমজীবী মানুষ হারিয়েছে তার কাজ, চাকরী হারিয়ে ঘরে নুন আনতে পান্তা ফুরাবার জোগার অগনিত মানুষের। এছাড়াও দেশের এ সঙ্কটে জরুরী চিকিৎসা সরঞ্জাম, অক্সিজেন, আইসিইউ কিনে দিয়ে যেখানে বিত্তবানরা বিপর্যস্ত চিকিৎসা ব্যবস্থাকে বাঁচিয়ে তোলার চেষ্টা করছেন, সেখানে মেয়র নিজের জন্য কিনছেন আড়াই কোটি টাকা মূল্যের গাড়ি।
একজন জনপ্রতিনিধির এমন কাজ চরম দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিচ্ছে বলে মনেে করছেন অনেক রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দরা।