আবদুল কাদের রাজু :-
নোয়াখালী বেগমগঞ্জ থানার ছয়ানী ইউনিয়নের ২০৬নং চন্ডীপুর নামক গ্রামটি বাংলাদেশের আরেকটি ছিটমহল।
প্রায় সাত দশক ধরে ভারত এবং বাংলাদেশের অমীমাংসিত ছিটমহল সমূহ বঙ্গবন্ধুর কন্যার নেতৃত্বে জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি সম্মানজনক ভাবে নিষ্পত্তি হয়। নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম দক্ষিণে ছয়ানী ইউনিয়ন এবং লক্ষীপুর সদর উপজেলার চরশাহী ইউনিয়নের পূর্ব দক্ষিণ সীমান্তে বিশাল কচুয়া নামক মাঠটি দুটি জেলায় অবস্থিত। দেশ স্বাধীনের পর বঙ্গবন্ধুর কৃষি উন্নয়ন কর্মসূচির আওতায় বেগমগঞ্জের তৎকালীন MNA-MP-DISTRICT GOVERNOR প্রয়াত নুরুল হক সাহেবের নেতৃত্বে এই মাঠের চতুর্দিকে বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা হয় এবং কৃষি উৎপাদন উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পায়। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর বহু সরকার আসে এবং যায় কিন্তু এই বেড়িবাঁধে আর কোন কাজ করা হয়নি।
লক্ষীপুর সীমান্ত এলাকায় স্থানীয় সরকার বিভাগের তত্ত্বাবধানে একটি অকার্যকর সুইসগেট তৈরী করা হয়,যাহা কয়েকবছর হতে এ অঞ্চলের মানুষের গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়ে আছে।বর্ষাকালে পানি নিষ্কাশনে এই সুইসগেটের মাধ্যমে প্রতিবন্ধকতা তৈরি হয়, যার ফলে বহুবছর ধরে কৃষকের উৎপাদিত ফসলহানি হয়ে থাকে। চলতি বছর ভয়াবহ জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হওয়ার ফলে সমস্ত ফসল নষ্ট হয়ে যায়, মৎস খামার সমূহ পানিতে তলিয়ে যায়। কচুয়া মাঠের পূর্ব অংশে চন্ডীপুর এবং পশ্চিম ভবানী জীবনপুর গ্রামের অধিবাসিরা পানিবন্দী হয়ে পড়েন। নোয়াখালীর সুধারাম থেকে আত্মঘাতী এবং অপরিকল্পিতভাবে বাঁধের উপর কালভাট তৈরী করে এই মাঠের ভিতর দিয়ে বর্ষাকালে পানি ঢুকিয়ে দেওয়া হয়, এতে করে কচুয়ার জনগণের মরার উপর খাড়ার ঘা।জোঁক,বিষধর বিভিন্ন সাঁপ ইত্যাদির উপদ্রবে সর্বসাধারণের জীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠে।মাঠে বসবাসকারীদের বেঁচে থাকার সুবিধার্থে স্থানীয় সরকার বিভাগের কোন কার্যকর উদ্যোগ বা দায়-দায়িত্ব আছে বলে মনে হয়না।
শুধু তাই নয়, চন্ডীপুর গ্রামবাসিদেরকে বাংলাদেশ সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নাগরিক মনে করেন না, অর্থাৎ নির্বাচন কমিশন এই গ্রামের একজন নাগরিককেও ভোটার সহ জাতীয় পরিচয় পত্র প্রদান করেননি।
স্বাধীন দেশে সত্যি ইহা এক বিস্ময়কর ঘটনা।
২৪-০৮-২০২০ খ্রিষ্টাব্দ তারিখ রোজ সোমবার কচুয়া সমাজ কল্যান সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতার উদ্যোগে বন্যার্তদের মাঝে সীমিত পরিসরে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। এসময় স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গসহ সংগঠনের যুবকেরা উপস্থিত থেকে সার্বিক সহযোগিতা করেন।
কচুয়াবাসি সম্মানজনকভাবে বেঁচে থাকার এবং তাদের রাস্তাঘাটের সমস্যা সমাধানের জন্য অনতিবিলম্বে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরী পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য এলাকাবাসী জোর দাবি জানান।
সদয় অবগতি ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুলিপিঃ
১।মাননীয় মন্ত্রী,স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার।
২।মাননীয় কৃষিমন্ত্রী,গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার।
৩।মাননীয় প্রতিমন্ত্রী,ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার।
৪।মাননীয় প্রতিমন্ত্রী,পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়,গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার।
৫।জেলা প্রশাসক, নোয়াখালী এবং লক্ষীপুর।
৬।জেলা ত্রাণ কর্মকর্তা,নোয়াখালী।
৭।উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, বেগমগঞ্জ,নোয়াখালী।
কচুয়া সমাজ কল্যাণ সংগঠন এবং এলাকাবাসীর পক্ষে
কমরেড মারফত উল্যাহ মাস্টার এবং মোঃনাজমুল হাসান নাজিম।