নিজস্ব প্রতিবেদকঃ-
সিটি কর্পোরেশনের নাগরিক সেবার ক্ষেত্রে যেসব কাজ শেষ করে যেতে পারেননি তা নতুন নির্বাচিত পর্ষদ সম্পন্ন করবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন । তিনি আজ রোববার সকালে নগরীর টাইগারপাসস্থ চসিকের অস্থায়ী অফিসে তাঁর দপ্তরে কর্পোরেশনের বিভাগীয় প্রধানদের সভায় এই আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ করেন।
এসভায় চসিকের ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আবু শাহেদ চৌধুরী, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মুফিদুল আলম, চসিক আঞ্চলিক অফিস জোন-৬ এর প্রধান নির্বাহী আফিয়া আকতার, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সেলিম আকতার চৌধুরী, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মারুফা বেগম নেলী, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মানিক, অতিরিক্ত প্রধান হিসাব রক্ষন কর্মকর্তা মোহাম্মদ
হুমায়ন কবির চৌধুরী স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ আলী, অতিরিক্ত প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মোর্শেদুল আলম চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন তাঁর দায়িত্বকালে সহযোগিতা করায় চসিকের বিভাগীয় প্রধানদের ধন্যবাদ জানান।
প্রশাসক বলেন,আমি আমার দায়িত্বকালে নগরীর প্রধানতম সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে তা সমাধানে সাধ্যমত চেষ্টা করেছি। ১৭ টি খাল পরিস্কার করে পানি প্রবাহ স্বাভাবিক করার পাশাপাশি মশার প্রজনন ধ্বংসে ওষুধ ছিটানোর ব্যবস্থা নিয়েছি। ৬ মাসের দায়িত্বকালে আমার নাগরিকসেবার কার্যক্রমে কর্পোরেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সহযোগীতা করেছেন। তাদের সহযোগীতায় আমি নগরবাসীর আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী সেবা দেয়ার চেষ্টা করেছি।
আমি বিশ্বাস করি সবার আন্তরিক প্রয়াস ও আমার ঐকান্তিক চেষ্টায় নগরবাসী জনপ্রতিনিধিদের ব্যাপারে আশাবাদি হবেন।
সভায় প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সেলিম আকতার করোনা মহামারির টীকা চট্টগ্রাম এসে পৌঁছেছে বলে প্রশাসককে অবহিত করেন। যা এখন চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন অফিসের কেন্দ্রীয় স্টোরে সংরক্ষিত আছে। আগামীকাল (১ ফেব্রুয়ারি) চসিকের ৩১ জন স্থাস্থ্যকর্মী ও ইপিআই কর্মী কোভিডের টীকা প্রদানে তাদের প্রশিক্ষণ শুরু করবেন। প্রশিক্ষন শেষে তারা টীকা প্রদান কার্যক্রমে অংশ নিবে। উল্লেখ্য সরকারি পর্যায়ে প্রথমে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে করোনার টীকা দেয়ার কর্মসূচি শুরু হবে।