নিজস্ব প্রতিবেদক:-
বাংলাদেশ রেলওয়ের জিএম(পূর্বাঞ্চল), হতে অতিরিক্ত মহাপরিচালক পদে উন্নীত হওয়াই হতাশ নিয়োগ দূর্নীতিতে ভুক্তভোগী সমাজ।
সারাদেশে যখন সমালোচনার শীর্ষে রয়েছে রেলওয়ে খালাশী ৮৬৫ টি পদে নিয়োগ দূর্নীতির বিষয় ঠিক সেই মূহুর্তে একই দূর্নীতির সাথে সন্দেহজনক কর্মকর্তার উচ্চ পদে পোস্টিং অর্ডার হওয়ার খবর পেয়ে হতাশ ভুক্তভোগী সমাজ।
বাংলাদেশ রেলওয়ের কয়েকটি বিশ্বস্ত সূত্রে জানতে পারা যায়, বাংলাদেশ রেলওয়ে পূর্বঞ্চলের জিএম সৈয়দ ফারুক আহমদ রেলপথ মন্ত্রনালয়ে অতিরিক্ত মহাপরিচালক (আরএস) পদের দায়িত্ব গ্রহন করার অফিস অর্ডার হয়। রেলওয়ে পূর্বঞ্চলের এই কর্মকর্তা জিএম সৈয়দ ফারুক আহমদ এর নির্দেশে আলোচিত রেলওয়ের ৮৬৫ টি খালাশী পদের চূড়ান্ত ফলাফল নিরূপন করা হয়েছিলো।
এই ৮৬৫ টি খালাশী পদের নিয়োগে দূর্নীতি হয়েছে এমন অভিযোগের যেনো কোন শেষ নেই। ইতিমধ্যে অনেক অভিযোগের সত্যতাও পাওয়া গিয়েছে। কোনটিতে দেখা মিলেছে, এই কর্মকর্তার গাড়ি চালকের খালু সুকুমার যার গঠন অনুযায়ী বুঝা যায় তার আনুমানিক বয়স ৫০ বছরেরও উর্ধে, যমুনা টিভির এক সাক্ষাতে তার মুখ ফসকে বেড়িয়ে যেতে দেখা যায় যে, চাকরির জন্য সে তার ভাগিনা হারাদন অর্থাৎ জিএম পূর্বাঞ্চলের গাড়ি চালককে টাকা দিয়েছে। কোন কোন ক্ষেত্রে দেখা গেছে, একই পরিবারের দুই সহোদরের চাকরী হয়েছে , তাদের মধ্যে একজন ভিন্ন ভিন্ন জন্মনিবন্ধন ব্যবহারের মাধ্যমে মোট ৪ টি জেলা থেকে আবেদন করেছে। সেই নিয়োগে দুইটি জেলা থেকে তার চাকরী হয়েছে। তার মধ্যে একটি জামালপুর জেলা রোল ৪১৯ এবং অন্যটি ঢাকা জেলা থেকে রোল ৯৪৮ ।আবেদনকরীর নাম মোঃ ইউছুফ রায়হান, পিতা- আবু বক্কর সিদ্দিক।
এছাড়াও নিয়োগের তালিকাতে কোন নিয়োগটি কোন কোটায় দেওয়া হয়েছে তা বোঝার কোনোরূপ উপায় রাখা হয়নি এ যেন শুভঙ্করের ফাঁকি। সরজমিনে তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে এমন শত শত অভিযোগ উঠে আসে। এমন অনিয়মের ক্ষেত্রে প্রশ্নের সম্মুখীন হতে অবশ্যই বাধ্য রেলওয়ের এই কর্মকর্তা জি এম পূর্বাঞ্চল সৈয়দ ফারুক আহমদ ও নিয়োগ কমিটির সদস্যগন।
কিন্তু এই কর্মকর্তা প্রশ্নের সম্মুখীন না হয়ে অতিরিক্ত মহাপরিচালক (রোলিং স্টক) পদের মতো গুরুত্বপূর্ন পদের দায়িত্ব গ্রহন করার জন্য পোস্টিং অর্ডার পেয়েছেন। এই খবরে আজ হতাশা প্রকাশ করছে কালো বিড়ালের অদৃশ্য থাবায় পড়া ভুক্তভোগী জনসাধারন।
এই ব্যাপারে মন্তব্য জানতে চাইলে , বাংলাদেশ রেলওয়ে পোষ্য সোসাইটির কেন্দ্রীয় সংসদের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সদস্য বলেন,“যারা আমাদের হক ছিনিয়ে নিয়ে বানিজ্য করেছেন ,তারা আইনের তদন্ত প্রক্রিয়ার আওতায় এসে প্রশ্নবিদ্ধ না হয়ে যদি এমন গুরুত্বপূর্ন পদে পৌছে যায় তাহলে তা কখনো মেনে নেওয়া যায় না। এই লজ্জা কখনো গোপন করা যাবে না।”
রেলওয়ের সূত্রে জানা যায় , ২০১৩ সালের জুলাই মাসে ৮৬৫ জন খালাশীর নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয় , এসময় নিয়োগ কমিটিতে প্রধান যান্ত্রিক প্রকৌশলী (পূর্ব) মিজানুর রহমানকে আহবায়ক , আর টি এ এর সিনিয়র ট্রেনিং অফিসার জোবেদা আক্তার কে সদস্য সচিব করা হয় , রফিকুল ইসলাম নামের একজন সদস্য ছাড়া বাকি দুইজনের মধ্যে একজন মারা যান, অন্যজন উপসচিব হয়ে অন্যত্রে চলে যান । মূলত পূর্বাঞ্চলের জি এম সৈয়দ ফারুক আহমদের নির্দেশে কমিটির আহ্বায়ক ও সদস্য সচিব মিলে নিয়োগের ফলাফল চূড়ান্ত করেন।
এখন প্রশ্ন, আলোচিত এমন দূর্নীতিপূর্ন নিয়োগের সাথে সংশ্লিষ্ঠ সরকারী অধিকারীগন সুষ্ঠ তদন্ত প্রক্রিয়া পাড় না করে কিভাবে একটি মন্ত্রনালয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (রোলিং স্টক) এর মতো এমন গুরুত্বপূর্ন পদের দায়িত্ব গ্রহন করার জন্য দপ্তরাদেশ পান ?
চলবে………..