নিজস্ব প্রতিবেদক :-
পুলিশে চাকুরী দেওয়ার নামে ও তরুনীকে ধর্ষণ করার অপরাধে সিএমপি’র টি আই এডমিন (সাবেক) আবুল কাশেমের পার্সোনাল ক্যাশিয়ার মো. মহব্বত আলী (২৮) ও শাহাদাত হোসেন রাজু (৩১) কে ৯জুলাই মঙ্গলবার ডবলমুরিং থানায় আটক করা হয়।
পুলিশে চাকরি দেওয়ার কথা বলে চট্টগ্রামে এক পুলিশ কনস্টেবলের স্ত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় জড়িত দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ ছাড়া নির্যাতনের শিকার ওই তরুণীকেও (২২) উদ্ধার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন, মো. মহব্বত আলী (২৮) ও শাহাদাত হোসেন রাজু (৩১)। তারা সম্প্রতি বরখাস্ত হওয়া ট্রাফিক পুলিশের সদস্য (টিআই) কাসেমের ক্যাশিয়ার হিসেবে কাজ করতেন।
ডবলমুরিং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সদীপ দাশ জানান, চাকরি দেওয়ার কথা বলে রাঙ্গামাটি থেকে ওই তরুণীকে চট্টগ্রাম নিয়ে আসে একটি চক্র। তাকে একটি বাসায় আটকে রেখে ধর্ষণ করা হয়।
ডবলমুরিং থানার উপপরিদর্শক (এসআই) অর্ণব বড়ুয়া জানান, ওই তরুণী এক পুলিশ কনস্টেবলের স্ত্রী। স্বামীর সঙ্গে বিরোধের সুযোগ নিয়ে আসামি শাহাদাত হোসেন রাজু তাকে পুলিশের চাকরিসহ বিভিন্ন লোভনীয় প্রস্তাব দিয়ে তার সঙ্গে নিয়ে আসেন এবং কিছুদিন আগে নগরীর আগ্রাবাদ এলাকার একটি আবাসিক হোটেল নিয়ে ধর্ষণ করেন। পরে শাহাদাত তার বন্ধু মো. মহব্বত আলীর কাছে ওই তরুণীকে রেখে আসেন।
শাহাদাত হোসেন রাজু জানান, মহব্বত আলী ওই তরুণীকে স্ত্রী পরিচয় দিয়ে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় বাসা খুঁজতে থাকেন। সোমবার ঈদগাঁ ঝর্ণা পাড়া এলাকায় বাসা খুঁজতে গিয়ে এলাকার নারীদের ওই তরুণী তার কাহিনী বলে দেন। পরে পুলিশ খবর পেয়ে তাকে উদ্ধার করে ও মো. মহব্বত আলীকে গ্রেপ্তার করে।