নিজস্ব প্রতিবেদকঃ-
চট্টগ্রাম নগরীর জলবদ্ধতা নিরসনের লক্ষ্যে প্রচেষ্ঠা চালিয়ে যাচ্ছে বর্তমান সরকার। এই লক্ষে বহুমুখি পরিকল্পনা নিয়ে কাজও করে যাচ্ছে সরকার। এতে প্রায় ৬ হাজার কোটি টাকার মেগা প্রকল্প দিয়েছেন বর্তমান সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, যা চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (চউক) কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন। আসন্ন বর্ষা মৌসুমে চট্টগ্রাম নগরকে কিভাবে জলাবদ্ধতা মুক্ত রাখা যায় সেই বিষয়ে সিডিএ ও সেনাবাহিনীকে আলাপ আলোচনা এবং প্রকল্প বাস্তবায়নে সমন্বয় সাধনের জন্য বৈঠকের আমন্ত্রন জানান সিটি মেয়র আলহাজ্ব আ.জ.ম.নাছির উদ্দীন। সেই আমন্ত্রনে সাড়া দিয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে সিটি মেয়রের দপ্তরে সিটি মেয়র আলহাজ্ব আ.জ.ম.নাছির উদ্দীনের সাথে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ কর্মকর্তা ও সেনাবাহিনীর ৩৪ ইঞ্জিনিয়ার কন্সট্রাকশন বিগ্রেডের কমান্ডার সহ অন্যান্য কর্মকর্তাদের এক বৈঠক অনুষ্টিত হয়। বৈঠকে সিটি মেয়র আ.জ.ম.নাছির উদ্দীন বলেন, নগরীতে জলজট সৃষ্টি হলেই নগরবাসী সিটি কর্পোরেশনকে দোষারোপ করে। নগরবাসীর এ ভোগান্তি লাঘবের জন্য চসিক ইতোমধ্যে অনেকবার সিডিএ-কে পত্র দিয়ে আমন্ত্রণ জানিয়েছে। যাতে জলবদ্ধতা নিরসনের জন্য মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নে চসিক ও সিডিএ”র মধ্যে সমন্বয় হয় । মেয়র বলেন চট্টগ্রাম নগরের জলবদ্ধতা নিরসনে এই মেগা প্রকল্পটি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঐকান্তিক ইচ্ছার ফসল। এই প্রকল্প যাতে শতভাগ বাস্তবায়িত হয়,সে ব্যাপারে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন সর্বাত্মক সহযোগিতা দিয়ে যাবে বলে সিটি মেয়র বৈঠকে উপস্থিত কর্মকর্তাদের জানান।
তিনি বলেন, এ কাজে চসিকের পূর্ব অভিজ্ঞতা রয়েছে। আরো রয়েছে জনবল। এছাড়া একাজে কাউন্সিলরদেরও অভিজ্ঞতা
রয়েছে। তাদের সহযোগিতা নেয়ারও পরামর্শ দেন মেয়র। তিনি বলেন গত দেড় বছরে মেগা প্রকল্পের তেমন অগ্রগতি পরিকলক্ষিত হচ্ছে না। তাই এ বছরও জলবদ্ধতার ভোগান্তি থেকে এ নগরবাসী রক্ষা পাবেনা বলে তিনি আশংকা প্রকাশ করেন। মেয়র জলবাবদ্ধতা নিরসনে প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা উপস্থিত কর্মকর্তাদের বিভিন্ন দিক নির্দেশনা ও দেন। উপস্থিত সেনাবাহিনীর ব্রি:জেনারেল তানভীর সিটি মেয়রের এ উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়ে জলাবদ্ধতা নিরসনের লক্ষ্যে প্রকল্প বাস্তবায়নে চসিক এর সহযোগিতা নেবেন বলে মেয়রকে জানান। এরপর চসিক প্রকৌশল বিভাগ,চউক ও সেনাবাহিনীর কর্মকর্তারা সিটি কর্পোরেশন কনফারেন্স হলে বৈঠকে মিলিত হন। বৈঠকে চসিক ও সিডিএ প্রকল্পে যে সমস্ত কাজ ওভারলেপিং হয়েছে সেগুলো সমন্বয়ের সিদ্ধান্ত গৃহিত হয় । এক্ষেত্রে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসুচির আওতাধীন প্রকল্প যে প্রতিষ্ঠান কাজ শুরু করেছে ,তা সে প্রতিষ্ঠানই করবে । এই প্রকল্পে অন্য প্রতিষ্টান কাজ করা থেকে বিরত থাকবে।
আসন্ন বর্ষা মৌসুমে নগরীকে জলবদ্ধতার আশংকা থেকে মুক্ত রাখতে নগরীর ৪১টি ওয়ার্ডকে ৪টি জোনে বিভক্তিপূর্বক সংশ্লিষ্ঠ কাউন্সিলরদের নিয়ে বৈঠক অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সাধারণ কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের মতামতের ভিক্তিতে কাজ করবে জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্প বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠান। বৈঠকে সিটি মেয়র ছাড়াও চসিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সামসুদ্দোহা,প্রধান প্রকৌশলী লে.কর্ণেল মহিউদ্দিন আহমেদ এবং সেনাবাহিনীর ৩৪ ইঞ্জিনিয়ার কন্সট্রাকশন বিগ্রেডের ভারপ্রাপ্ত প্রকল্প পরিচালক লে. কর্ণেল, সিডিএ প্রধান প্রকৌশলী উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া চসিক তত্বাবধায়ক ও নির্বাহী প্রকৌশলীগণ উপস্থিত ছিলেন।
সভায় দুই সংস্থা নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে একযোগে সমন্বয়ের মাধ্যমে কাজ করবে বলে সিদ্ধান্ত হয়। এতে হালিশহর বিজিবি আর্টিলারীর সামনের জলাবাদ্ধতা,এই এলাকার খাল ও নালার মাটি অপসারণ নিয়ে আলোচনা হয়। আলোচনায় মহেশখালের ও গয়নার ছড়ার পানি নিষ্কাশনের বিষয় উঠে আসে। এছাড়া পাথরঘাটায় ব্রিজ নির্মাণ কাজের প্রকল্প এলাকার পাশে চউকের প্রকল্প থাকায় দুই প্রতিষ্ঠান সমন্বয়ের মাধ্যমে কাজ করবে বলে জানানো হয়।