নিজস্ব প্রতিবেদক :-
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের বায়েজিদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রিটন সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষমতা অপব্যবহার করে বসতঘর মেরামতের কাজে বাধা দেওয়ায় সিএমপি কমিশনারের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে ভুক্তভোগী পরিবার।
গত ১২ ই ফেব্রুয়ারি মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ভুক্তভোগী আলকুমা বেগম সিএমপি কমিশনার বরাবর এ অভিযোগ দায়ের করেন। যার স্মারক নং ৩১৭৯/ভিএন।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার অভিযোগটি আমলে নিয়ে সিএমপির বায়েজিদ বোস্তামি জোনের সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার পরিত্রাণ তালুকদারকে অভিযোগের বিষয়ে অনুসন্ধানের দায়িত্ব দেন বলে জানান অভিযোগকারী আলকুমা বেগম। অনুসন্ধানের নিমিত্তে আগামী ৯ই মার্চ রাত আট ঘটিকায় বায়েজিদ বোস্তামি জোনের সহকারী কমিশনার কার্যালয়ে অভিযোগের শুনানি হবে বলেও জানান তিনি।
অভিযোগে উল্ল্যেখ করা হয়, অভিযোগকারী আলকুমা বেগম দীর্ঘ ৪০ বছর বৈবাহিক সূত্রে বায়েজিদের মাইজপাড়া এলাকায় শেরশাহ কলোনীতে বেলাল খাদেমের বাড়িতে সব ধরনের নাগরিক সুবিধা পেয়ে শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করে আসছেন। বর্তমানে বসত ঘরটি থাকার অনুপযোগী হয়ে গেলে গত ৮ই ফেব্রুয়ারি স্থানীয়দের জ্ঞাতসারে ঘরটির সংস্কারের কাজ শুরু করেন। সংস্কার কাজ চলাকালীন ওসির নির্দেশে বায়েজিদ থানার একটি টিম ঘর সংস্কার কাজে বাধা প্রদান করে এবং উপস্থিত ৩ জন শ্রমিককে আটক করে নিয়ে যায়।
পরে আলকুমা বেগম থানায় গেলে ওসি তার কাছ থেকে মুছলেখা নিয়ে ৩জন শ্রমিককে ছেড়ে দেন এবং তাকে ঘর মেরামত করতে নিষেধ করে দেন।
এ বিষয়ে অভিযোগকারী আলকুমা বেগম সাংবাদিককে জানান, ৩ জন শ্রমিককে ছাড়ার পর ওসি প্রিটন সরকার বলেছেন, ফের যদি দেয়ালের একটি ইটও গাথা হয় আবারো সবাইকে ধরে নিয়ে আসবো।
কাজে বাধা প্রদান ও ৩ জন শ্রমিককে আটকের বিষয়ে ওসি প্রিটন সরকারের কাছে জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি স্বীকার করে সাংবাদিকদের বলেন, ঐ মহিলার জায়গার কাগজপত্র ও ডকুমেন্ট দেখালে তাহলে ঘর মেরামতের কাজ করতে দেয়া হবে, অন্যথায় কোনভাবে কাজ করতে দেয়া হবেনা।
তবে, ঘর মেরামতের কাজে বাধা প্রদান ও আটকের ব্যাপারে আদালতের কোন নিষেধাজ্ঞা জারী কিম্বা কোন অভিযোগ আছে কিনা জানতে চাইলে ওসি এর কোন প্রয়োজন নেই বলে জানান সাংবাদিকদের।
অভিযোগকারী বিধবা আলকুমা বেগম ৪ কন্যা সন্তান নিয়ে অসহায় জীবনযাপন করছেন, তিনি একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান।