জুনায়েদ হাসান:-
“হাসি” দুই অক্ষরের শব্দ মাত্র। আর এই দুই অক্ষরের শব্দটির জন্য মানুষ কত কিছুই না করছে।মানুষের মুুুুখে হাসি ফোটাতে মানুষের অবিরাম ছুটে চলা। কখনো প্রিয়জন, কখনো বন্ধু-বান্ধব, কখনো বা দেশের জন্য। এই হাসি ফোটানোর জন্য কত যুদ্ধ সংগ্রাম।
এই ধারাবাহিকতার অংশ হিসেবে কাজ করে যাচ্ছেন কমেডিয়ান ফৌজুল আকবর রিফাত। যিনি চট্টগ্রামে কমেডি শিল্পে এক উজ্জল নক্ষত্র হিসেবে পরিচিত।
এফ এ রিফাত বলেন, সুস্হ থাকতে হাসির কোন বিকল্প নেই। কোন বয়স নেই। হাসি পৌঁছে দেবো দেশের প্রতিটি ঘরে প্রতিটি মানুষের কাছে এবং সেই সমস্ত মানুষের হৃদয়ে। সেই লক্ষ্যে আমাদের অগ্রযাত্রা চলছে, চলবে।
নিষ্ঠুর এই সময়ে কর্ম ব্যস্ততা, লেখা পড়া সব কিছুতেই যেনো মানুষ একটি খোলসে আবদ্ধ। তাহলে কেমন হবে আগামী প্রজন্ম। সেই কর্ম ব্যস্ততার ফাঁকে হাসি ছড়াতে যাত্রা শুরু করে “চিটাগাং কমেডি ক্লাব”। এখান থেকে উঠে আসা মেধাবী একজন কমেডিয়ান ফৌজুল আকবর রিফাত।
সর্ব প্রথম আশিকুর রহমান আশিকের নির্দেশনায় এবং সাদেকুর রহমান মাসুমের উপস্থাপনায় বাংলাদেশ টেলিভিশনে চট্টগ্রামের প্রথম কমেডি শো “হাসির জোয়ার ভাটা” দিয়ে যাত্রা শুরু করে রিফাত। তারপর তাঁকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি।
এরপর তিনি ২০১৬ সালে ১৮ ই জুলাই বাংলাদেশের একমাত্র কমেডি ভিত্তিক রিয়েলিটি শো এনটিভি হা-শো সিজন ৪ এ চট্টগ্রাম জোন অডিশনে আরেক কমেডিয়ান জহির ইকবালকে সাথে নিয়ে ডুয়েট পারফর্ম করে সিলেক্ট হন। তারপর একে একে ভিন্ন ভিন্ন চরিত্রে অসাধারণ পারফর্ম দেখিয়ে বিচারকদের মন জয় করে টপ টেন পারফর্মার হয় এ জুটি।
হাশোর যাত্রা শেষে রিফাত থেমে থাকেননি। চট্টগ্রামের বিভিন্ন মঞ্চে স্ট্যান্ড আপ কমেডি করে মানুষের মনে জায়গা করে নিয়েছেন খুব সহজে। রিফাত নামটি এখন সকলের কাছে প্রিয়। তিনি বর্তমান সময়ে তৈরি করেছেন এক ঝাঁক মেধাবী নতুন কমেডিয়ান। যার হাত ধরেই অনেকে সুযোগ পাচ্ছে জায়গা করে নিচ্ছে বাংলাদেশের একমাত্র কমেডি ভিত্তিক রিয়েলিটি শো হাশো তে। তন্মোধ্যে সাবরিনা করিম, মাসুদ আহমেদ, তাসনিয়া জাহান জেনি যারা এখন এন টিভি হাশো সিজন ৫ এর মঞ্চে তুমুল পারফর্ম করছেন।
একই ভাবে তিনি তাঁর নিজের লেখা স্ক্রিপ্টে নিজের নির্দেশনায় কিছু নতুন কৌতুক অভিনেতা নিয়ে একসাথে নিয়মিত কাজ করছেন বাংলাদেশ টেলিভিশন চট্টগ্রাম কেন্দ্রের জনপ্রিয় অনুষ্ঠান আঁরার চাটগাঁ, সাম্পান, উচ্ছাস, পাশাপাশি সহ বিভিন্ন ম্যাগাজিন অনুষ্ঠানে।
রিফাত স্ট্যান্ড আপ কমেডিকে ভালোবেসে নিজের ভেতরে লালন করছেন এবং তা বিস্তারে কাজ করে যাচ্ছেন নিরলসভাবে। তিনি একটা বিষয়ে খুব হতাশ। তিনি বলেন, স্ট্যান্ড আপ কমেডি খুব সহজ একটি বিষয় নয়। বাস্তব জীবনের সব ঘটনাকে হাস্যরস দিয়ে আমাদের সব কিছু তৈরি করতে হয়। মানুষ স্ট্যান্ড আপ কমেডি ও জোকার এর মধ্যে পার্থক্য বোঝেনা। এটাকে অনেকে ছোট করে দেখে। কিন্তু এই কাজ কতটা কঠিন এবং চেলেঞ্জিং তা অনেকেই জানেনা। তবে সু-শিক্ষিত সমাজ থেকে আমরা যতেষ্ট মূল্যায়ণ পাই।
কমেডি একটি শিল্প। যা মানুষকে শুধু আনন্দ দেয়না সুস্থ রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
তিনি আরো বলেন, কমেডি শিল্পকে আমরা আরো সমৃদ্ধ করতে ইতিমধ্যে বিভিন্ন পদক্ষেপ হাতে নিয়েছি। ওপেন মাইক কমেডি শো, বিশ্ব হাসি দিবস উদযাপন সহ ভিন্ন ভিন্ন উদ্যোগ হাতে নিয়েছি। যা আমাদের শিল্পকে আরো একধাপ এগিয়ে নিবে।
কমেডি চর্চা, কমেডি বিস্তার, কমেডি শিল্পের সমৃদ্ধ বর্তমান সময়ে খুব জরুরী। সুস্থ থাকতে হাসি খুশি থাকারো পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। তাই রিফাত এর মত সকলের উচিত এই শিল্প সমৃদ্ধের জন্য একযোগে কাজ করা।