চট্টগ্রাম নগরীর সিআরবি পাহাড়ের শত শত বছরের শিরীষ গাছগুলো এক একটি অক্সিজেন তৈরির কারখানা। সিআরবিতে হাসপাতাল গড়ে উঠলে সেই অক্সিজেন কারখানা ধ্বংস হয়ে যাবে। এটিকে অক্সিজেনের কবর রচনা করে সিআরবিতে হাসপাতাল করতে দেওয়া যাবে না । বৃহস্পতিবার (১২ আগস্ট) সিআরবিতে ধারাবাহিক অবস্থান কর্মসূচি পালনকালে আলোচকবৃন্দ এ কথা বলেন।
তাঁরা বলেন, এটা চট্টগ্রামের ভূপ্রকৃতি বাঁচানোর আন্দোলন। চট্টগ্রামের সকল জনগন এ আন্দোলনের সাথে আছে। সংবিধান
সরকারকে সর্বোচ্চ ক্ষমতা দিয়েছে এসব জায়গা জমি সংরক্ষণের। তাই দেশের ভূপ্রকৃতি এবং জীববৈচিত্র রক্ষায় সরকারকে এখনই কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
বক্তাগণ আরো বলেন, হাসপাতালটি প্রতিষ্ঠার জন্য ২০১৭ সালে আহূত ইনভাইটেশন ফর বিড (আইএফবি) নোটিশে প্রকল্পের স্থান হিসেবে সিআরবির নাম ছিল না। বাংলাদেশের সংবিধানের ২৪ নং অনুচ্ছেদে বলা আছে, “বিশেষ শৈল্পিক কিংবা ঐতিহাসিক গুরুত্বসম্পন্ন বা তাৎপর্যম-িত স্মৃতিনিদর্শন, বস্তু বা স্থানসমূহকে বিকৃতি, বিনাশ বা অপসারণ হইতে রক্ষা করিবার জন্য রাষ্ট্র ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন। এছাড়াও মাস্টার প্ল্যানের আলোকে ২০০৯ সালে সিডিএ কর্তৃক প্রণীত “ডিটেইল এরিয়া প্ল্যান (ড্যাপ)” এ সিআরবিকে “সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য” হিসেবে সংরক্ষণের কথা উল্লেখ আছে। সুতরাং আমাদের বক্তব্য, সিআরবি অথবা রেলওয়ের বৃক্ষ আচ্ছাদিত প্রাকৃতিক সৌন্দর্যম-িত অন্যান্য জায়গা ব্যতিরেকে রেলওয়ের মালিকানাধীন বিশাল বিস্তৃত সমতল ভূমির অন্য যেকোন একটি জায়গায় যেমন; বিজিএমই ভবনের কাছে, ইউএসটিসি এবং ইম্পেরিয়াল হাসপাতালের পাশে এই হাসপাতালটি নির্মাণ করা যেতে পারে। অবশ্য আমরা আশা করি, সরকারি জায়গায় যদি কোন বেসরকারি স্থাপনা নির্মাণ করা হয় তা যেন প্রকৃত অর্থেই জনকল্যাণমূলক হয়, মুনাফাভিত্তিক নয়।
অবস্থান কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন নাগরিক সমাজ, চট্টগ্রামের কো চেয়ারম্যান রাজনীতিক ও সংস্কৃতি সংগঠক মফিজুর রহমান, মুক্তিযোদ্ধা মো. ইউনুচ, পরিবেশ বিজ্ঞানী প্রফেসর ড. ইদ্রীস আলী, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক কবি প্রফেসর
হোসাইন কবীর, শিক্ষক নেতা আবৃত্তি শিল্পী অঞ্চল চৌধুরী, শিক্ষক নেতা মিল্পী উত্তম কুমার আচার্য, চট্টগ্রাম মঞ্চ সঙ্গীত মিল্পী সংস্থার সভাপতি আলাউদ্দিন তাহের, সংস্কৃতি সংগঠক সুনীল ধর, ডক বন্দর শ্রমিক লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জেড আর চৌধুরী বাবু, নারী নেত্রী সাহেলা আবেদীন রীমা, পশ্চিম রামপুরা ওয়ার্ড মহিলা আওয়ামী লীগ সভাপতি নারী নেত্রী ফারহানা আফরোজ আলম জেনিফা, নারী নেত্রী হাসিনা আক্তার টুনু, মুক্তিযুদ্ধ একাডেমি ট্রাস্ট, চট্টগ্রামের আহবায়ক ছড়াকার আফম মোদাচ্ছের আলী, যুবলীগ নেতা জয় ম্যাক্স, চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগ সভাপতি মাহমুদুল করিম, ছাত্রলীগ নেতা হারুনর রশীদ, খন্দকার নাইমুল আজম, আনোয়ার পলাশ, মাইনউদ্দিন মামুন, শরীফুল ইসলাম মাহি, আবদুল্লাহ আল সাইমন প্রমুখ।
সঞ্চালনায় ছিলেন কবি ও সাংবাদিক ঋত্বিক নয়ন।
সমাবেশে সংহতি প্রকাশ করেন, বিএফইউজের যুগ্ম মহাসচিব মহসীন কাজী, চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কবি ও সাংবাদিক শুকলাল দাশ, অধ্যাপক কলামিস্ট শামসুদ্দিন শিশির, স্বপন মজুমদার, চবি ছাত্রলীগের সাবেক নেতা এডভোকেট শাহরিয়ার তানিম, ডক বন্দর শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. জামাল উদ্দিন, চট্টগ্রাম বার কাউন্সিলের সদস্য এডভোকেট আবু নাসের রায়হান, পরিবেশবিদ শরীফ চৌহান, খেলাঘর সংগঠক মোরশেদুল আলম চৌধুরী, আওয়ামীলীগ নেতা হাসান মনসুর, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ শাহজাহান, নাট্য ব্যক্তিত্ব সাইফুল আলম বাবু, সংস্কৃতি সংগঠক সজল চৌধুরী, আবৃত্তি শিল্পী প্রনব চৌধুরী, এডভোকেট তোফাজ্জল হোসেন জিকো, আমিনুল ইসলাম মুন্না, তাপস পাপ্পু, টিটু দত্ত, রাহুল দত্ত, সাজ্জাদ হোসেন জাফর প্রমুখ।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিঃ