সারাদেশে চলছে কঠোর লকডাউন । এই লকডাউনে কিছু সুবিধাভোগী মহল মাদক পাচারে মরিয়া হয়ে উঠেছে। আর এই লকডাউনের সুযোগকে কাজে লাগিয়ে কক্সবাজার জেলার চকরিয়া এলাকা দিয়ে কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে বিভিন্ন প্রসাধনী পণ্যর আড়ালে ইয়াবা পাচারকালে ২৩,১৫৫ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করেছে র্যাব-৭ , চট্টগ্রাম। যার আনুমানিক মূল্য ৭০ লক্ষ টাকা। এসময় ০১ মাদক ব্যবসায়ীকেও আটক করেছে র্যাব ।
জানা যায় , গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-৭, চট্টগ্রাম জানতে পারে যে, কতিপয় মাদক ব্যবসায়ী কক্সবাজার হতে মাদকের একটি চালান কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে চট্টগ্রামে পাঠানোর জন্য বুকিং করেছে এবং ঐ মাদক ব্যবসায়ী যাত্রীবেশে একটি মাইক্রোবাস যোগে চট্টগ্রামের দিকে আসছে।
এ সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার ০২ আগস্ট রাত সাড়ে ৯ টায় কক্সবাজার জেলার চকরিয়া থানাধীন চকরিয়া পৌর মার্কেট এলাকায় র্যাব-৭, চট্টগ্রাম এর একটি আভিযানিক দল বিশেষ চেকপোস্ট স্থাপন করে গাড়ি তল্লাশি শুরু করে। এসময় র্যাবের চেকপোস্টের দিকে আসা একটি মাইক্রোবাসকে থামানোর সংকেত দিলে মাইক্রোবাসটি র্যাবের চেকপোস্টের সামনে থামলে মাইক্রোবাস থেকে নেমে একজন ব্যক্তি সুকৌশলে পালানোর চেষ্টা করলে র্যাব সদস্যরা ধাওয়া করে আসামী রুকন মিয়া (৩১), পিতা-জালু মিয়া, সাং-বুল্লা, থানা-মাধবপুর, জেলা- হবিগঞ্জকে আটক করে।
আটককৃত আসামী ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করে যে, সে মাদকের একটি চালান কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে চট্টগ্রামে পাঠানোর জন্য বুকিং করেছে। কিছুক্ষন পর র্যাবের চেকপোস্টের দিকে আসা একটি কুরিয়ার সার্ভিসের কাভার্ড ভ্যানকে (ঢাকা মেট্রো উ-১১-৪১৯১ ) থামানোর সংকেত দিতে কাভার্ডভ্যানটি চেকপোস্টের সামনে থামলে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে আটককৃত আসামীর দেখানোমতে কাভার্ডভ্যান তল্লাশি করে ২৩,১৫৫ পিস ইয়াবা উদ্ধারসহ আসামীকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামী র্যাবকে আরো জানা যায় যে, সে দীর্ঘ দিন যাবৎ কক্সবাজার জেলার সীমান্তবর্তী এলাকা হতে মাদকদ্রব্য সংগ্রহ করে পরবর্তীতে তা কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে চট্টগ্রামসহ দেশের অন্যান্য অঞ্চলে মাদক ব্যবসায়ীদের নিকট পাচার করে আসছে।
গ্রেফতারকৃত আসামী ও উদ্ধারকৃত আলামত সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে কক্সবাজার জেলার চকরিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানায় র্যাব।