নিজস্ব প্রতিবেদক :-
চট্টগ্রাম সিটি কপোর্রেশনের মেয়র আ.জ.ম.নাছির উদ্দীনের সাথে সৌজন্য সাক্ষাত করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত।
বুধবার সকালে টাইগারপাস সিটি মেয়রের কার্যালয়ে সাক্ষাতকালে তাঁরা উভয় দেশের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয় ছাড়াও বিনিয়োগ এবং ব্যবসা বাণিজ্য প্রসারসহ বিবিধ বিষয়ে আলোচনা করেন। সিটি মেয়র কপোর্রেশনের নানামুখি সেবাকার্যক্রম এর তথ্য রাষ্ট্রদূতকে অবহিত করেন।
এই প্রসঙ্গে সিটি মেয়র বলেন, এই প্রতিষ্ঠানের মৌলিক কাজ হচ্ছে তিনটি । এগুলোর মধ্যে রয়েছে নগরীর পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা, আলোকায়ন এবং অবকাঠামোগত উন্নয়ন। এই মৌলিক কার্যক্রমের
বাইরে গিয়েও চসিক ৯০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ৬০টি দাতব্য চিকিৎসালয়,৪টি মাতৃসদন,হোমিও দাতব্য চিকিৎসালয়,হেলথ টেকনোলজি,মিডওয়াইফ
ইনস্টিটিউট পরিচালনা করছে। এছাড়া সিটি মেয়র বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন বিষয়ে রাষ্ট্রদূতকে অবহতি করেন। এছাড়া বৈঠকে সিটি মেয়র চট্টগ্রামে শীপ ব্রেকিং ইয়ার্ড,জাহাজ তৈরী, বৃহৎ শিল্প কারখানা এবং পোষক শিল্প কারখানা,স্টীল মিলস এর স্থাপনা এবং বিশেষ শিল্পাঞ্চল স্থাপন সম্পর্কে ও রাষ্ট্রদূতকে অবহিত করেন।
প্রসঙ্গক্রমে চট্টগ্রাম নগরকে একটি বাসযোগ্য,নিরাপদ,পরিবেশ বান্ধব ও সবুজায়ন কার্যক্রম সম্পর্কে সিটি মেয়র রাষ্ট্রদূতকে অবহিত করেন।
মেয়র আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন ফ্রান্সের মত বাংলাদেশের বন্ধুপ্রতিম সকল রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের
উন্নয়নে সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে । এই প্রসঙ্গে সিটি মেয়র বলেন, বাংলাদেশের অবকাঠামো, শিল্পাঞ্চল, জ্বালানি ও সামুদ্রিক অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে ফরাসি বিনিয়োগের সুযোগ রয়েছে। ইতোমধ্যে কোরিয়া,চীনসহ বিভিন্ন রাষ্ট্রের ব্যবসায়ীরা এই শিল্পাঞ্চল জোনে বিনিয়োগ করছে।এমনকি বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট নিমার্ণ ও তা উৎক্ষেপণে ফ্রান্স ব্যবসায়ী মহলের বড় বিনিয়োগ। এর জন্য সিটি মেয়র ফ্রান্স সরকার এবং সেদেশের ব্যবসায়ী মহলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত চট্টগ্রামের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে কথা উল্লেখ করে বলেন, সাগর,নদী ও পাহাড়,পর্বত বেষ্ঠিত এই শহর যে কোনো অতিথিকে মুগ্ধ করে । আমিও আমার স্ত্রী এই শহরের এসে অবিভুত হলাম। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে লীলাভুমি এই শহরটি এখন সবুজ এবং পরিচ্ছন্ন নগরী। এর জন্য তিনি সিটি মেয়র আলহাজ্ব আ.জ.ম.নাছির উদ্দীনের ভূয়সী প্রশংসা করেন। বাংলাদেশে বিনিয়োগের কথা উল্লেখ করে ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত বলেন ঢাকাস্থ সায়দাবাদে পানি শোধানাগার প্রকল্পটি ফ্রান্সের
অথার্য়নে নির্মিত হয়েছে।আগামীতে এই ধরণে প্রকল্প বিভিন্ন জেলায় বাস্তবায়নের ফ্রান্স ব্যবসায়ী মহলের সদিচ্ছা আছে বলে তিনি সিটি মেয়রকে
অবহিত করেন।
তিনি আরো বলেন ফ্রান্স বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন নিয়ে বিভিন্ন দেশে কাজ করছে আগামীতে এখাতসহ ব্লু-ইকোনোমি তথা সাগরের
তলদেশে লুকায়তি সম্পদ আহরনে বিনিয়োগ করবে ফ্রান্স সরকার।
এই সময় উপস্থিত ছিলেন রাষ্ট্রদূতের স্ত্রী,আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ এর পরিচালক,অরমান রাফি নিজাম এবং
সিটি কপোর্রেশনের ভারপ্রাপ্ত প্রধান নিবার্হী কর্মকতা আবু শাহেদ চৌধুরী,সিটি মেয়রের একান্ত সচিব মো: আবুল হাশেম।
সিটি মেয়র আলহাজ্ব আ.জ.ম.নাছির উদ্দীন ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূতকে ক্রেস্ট প্রদান করেন।