বিশেষ প্রতিবেদক :-
চট্টগ্রামের সিইপিজেড এলাকার চৌধুরী মার্কেটের ২য় তলায় অবস্থিত রুপসা কিং গ্রুপ নামক একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান হতে প্রায় ৮ কোটি ৪২ লক্ষ বস্তাবন্দী টাকা জব্দ করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার দুপুর ৩ টা হতে রাত ১২ টা নাগাদ ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ(ডিএমপি) ডিবির একটি স্পেশাল টিম ও সিএমপির সিইপিজেড থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে বস্তাবন্দী এ টাকা উদ্ধার করেছে। এ সময় অভিযানে উপস্থিত ছিলেন সিএমপি পুলিশের বন্দর জোনের উপ-কমিশনার হামিদুর রহমান, সহকারী কমিশনার কামরুল হাসান সহ স্থানীয় থানা পুলিশ।
জানাযায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রেরিত ডিবি পুলিশ এই অভিযান পরিচালনা করেন। এসময় বেরিয়ে আসে একের পর এক টাকার বস্তা। তবে এবিষয়ে প্রশাসন কর্তৃক সাংবাদিকদের কোন বক্তব্য দিতে রাজি হননি।
জানা গেছে, প্রায় ৪০ হাজারেরো বেশি গ্রাহকদের বেশি মুনাফার লোভ দেখিয়ে প্রতিষ্ঠানটি কোটি কোটি টাকার অবৈধ বাণিজ্য করছে।যা সম্পুর্ণ বেআইনি। আরো জানা গেছে ৪০ হাজার গ্রাহকের মধ্যে প্রায় ৯০ ভাগই পোশাক শ্রমিক।
প্রশ্ন হল এত টাকা কেনই বা একত্র করা হয়েছিল? টাকা গুলো ব্যাংকে থাকার কথা ছিল তবে কেনই বা ব্যাংক থেকে টাকা গুলো তুলে আনা হলো? এই অভিযান পরিচালনা করা না হলে হয়তো যুবক বা অন্য প্রতিষ্ঠান গুলোর মতো এই প্রতিষ্ঠানটিও ৪০ হাজার শ্রমিকের টাকা নিয়ে দেউলিয়া হয়ে যেত।
অভিযান চলাকালে প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সহ কয়েকজন কর্মী উপস্থিত ছিলেন। এ সময় প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদের ৩ জনকে আটক করা হয়। তবে রুপসা_কিং_গ্রুপ এর মালিক মুজিব কোম্পানী এসময় উপস্থিত ছিলেন না। পরবর্তীতে তাকে ফোন দিয়ে মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়। এসময় বিক্ষুব্ধ গ্রাহকরা পুলিশ, গণমাধ্যম কর্মী সহ অভিযানের সাথে সংশ্লিষ্ট সকল কে প্রায় ২ ঘন্টা অবরুদ্ধ করে রাখে। পরে পুলিশের সক্ষমতা বাড়ানো হলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আসে।
পরে এই অভিযানের বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযান পরিচালনাকারী কেউই কথা বলতে চাননি! এমনকি তদন্তের কারন দেখিয়ে ছবি বা ভিডিও ফুটেজ ধারন করতেও দেয়া হয়নি সংবাদকর্মীদের।
পরবর্তীতে প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক এর সাথে কথা বলতে চাইলে তিনি সাংবাদিক দের এড়িয়ে যান।
বর্তমানে উদ্ধারকৃত টাকা স্থানীয় থানায় নেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে জানতে সাংবাদিকরা থানায় গেলে সাংবাদিকদের কাউকে থানায় ঢুকতে দেয়া হয়নি।