নৈতিক দল তার নির্বাচনী ইশতেহার মোতাবেক জনগণের রায় নিয়ে ক্ষমতায় আসে। পরবর্তীতে সরকার গঠনের পর সে ইশতেহার হয় দেশ ও জাতির উন্নয়নের গাইডলাইন। ঘোষিত ইশতেহার মোতাবেক সরকার দেশ পরিচালনাসহ উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করে থাকে। কাজেই সরকারের মেনিফেস্টো বাস্তবায়নে সরকারি কর্মচারীদের আন্তরিক হতে হবে। ক্ষমতা নয় – কাজের প্রতি কর্মকর্তাদের অধীক মনোযোগ দিতে হবে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বৃ্হস্পতিবার বিকেলে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে বিভাগীয় ও জেলা পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় সভায় সরকারি কর্মকর্তাদের এসব নির্দেশনা দেন।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব আরো বলেন, চট্টগ্রামে কর্ণফুলী টানেল বাস্তবায়িত হলে দেশের অর্থনীতির পাশাপাশি এ অঞ্চলের অর্থনীতিরও ব্যাপক উন্নয়ন হবে। ভিশন-২০৪১ বাস্তবায়নে কক্সবাজারের মাতারবাডিতে গৃহীত প্রকল্পসমূহ গুরুত্বপুর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
সচিব বলেন, প্রত্যেকে নিজ নিজ ধর্মীয়, সংস্কৃতি এবং সাধারণভাবে লালিত বিধান অনুসরণ করলে দেশ থেকে দুর্নীতি দুর হবে। শুধু আইন করে বা শাস্তি দিয়ে দুর্নীতি দুর করা যাবেনা। তিনি বলেন, দুর্নীতি দুর করতে জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল (এনআইএস) প্রণয়ন করা হয়েছে। প্রত্যেককে এনআইএস মেনে চলতে হবে।
এসময় অনুষ্ঠানে বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের বিভাগীয় প্রধানগণ নিজ নিজ প্রকল্পের অগ্রগতির বিবরণ তুলে ধরেন। মন্ত্রিপরিষদ সচিব বিভিন্ন প্রকল্পের বর্তমান অবস্থা, বাস্তবায়ন হার, উপকারভোগীদের সম্পৃক্ততা ইত্যাদি বিষয়ে খোঁজ-খবর নেন। তিনি বলেন, সরকারি কর্মকান্ড সুষ্ঠুভাবে সম্পাদন করতে সকল দপ্তরকে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে। একে অপরের ব্যাকআপ হিসেবে কাজ করলে নির্দিষ্ট প্রকল্প দ্রুত ও নির্ধারিত সময়ে শেষ হয় বলে এ সময় তিনি মত প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, মুজিববর্ষ উদযাপনের জন্য যেকোন দপ্তর তার যেকোন একটি উল্লেখযোগ্য কাজকে সর্বাধিক বাস্তবায়ন করার মাধ্যমে মুজিববর্ষের কাজ বলে ঘোষণা করতে পারে। এজন্য আলাদা প্রকল্প বা বাজেট নেওয়ার প্রয়োজন পড়েনা।
তথ্যসচিব কামরুন নাহার বলেন, প্রত্যেক দপ্তর তার চলমান উন্নয়ন প্রকল্পসমূহের সংক্ষিপ্ত ভিডিও ক্লীপ বা অন্য কোন তথ্য নিজস্ব ওয়েবসাইটে আপলোড করার মাধ্যমে দেশবাসীকে প্রকল্প বিষয়ে অবগত করাতে পারে। জনগণকে সম্পৃক্ত করার পাশাপাশি মিডিয়াকর্মীদের উন্নয়ন কাজে সংযুক্ত করলে সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ড সম্পর্কে জনগণ আরো বেশি অবহিত হতে পারে।
এসময় বিভাগীয় কমিশনার এ বি এম আজাদের সভাপতিত্বে সভায় অন্যান্যের মধ্যে অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) শংকর রঞ্জন সাহা, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) মো. নুরুল আলম নিজামী, মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মাহবুবুর রহমান, ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভিন তিবরীজিসহ বিভাগীয় সব দপ্তরের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
বিজ্ঞপ্তি :