নিজস্ব প্রতিবেদক :-
বইমেলা অনুষ্ঠানের ব্যাপারে সবসময় সহযোগিতার হাত উম্মুক্ত থাকবে বলে জানান চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন।
চট্টগ্রাম সিটি কপোর্রেশনের আগামী নতুন মেয়রকে আশ্বস্থ করে চসিক মেয়র বলেছেন, এ বছর যেভাবে বইমেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে, আগামীতেও সেই ধারায় জিমনেসিয়ামসহ আশে-পাশের এলাকা নিয়ে বইমেলা অনুষ্ঠিত হবে।
শনিবার আন্তজার্তিক মাতৃভাষা দিবস ও অমর একুশে উপলক্ষে মুজিব বর্ষে বঙ্গবন্ধুকে নিবেদিত চসিক আয়োজিত এবং চট্টগ্রাম সৃজনশীল প্রকাশক পরিষদ ও নাগরিক সমাজ, মুক্তিযোদ্ধা, লেখক, সাংবাদিক,শিক্ষাবিদ,সাহিত্য-সাংস্কৃতিক সংগঠনের যৌথ উদ্যোগে বিশদিন ব্যাপি বইমেলার সমাপনি দিবসে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিটি মেয়র একথা বলেন।
অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম সিটি কপোর্রেশন শিক্ষা স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান,কাউন্সিলর ও বইমেলা উদযাপন পরিষদের আহবায়ক নাজমুল হক ডিউক এর সভাপতিত্বে সভায় চসিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সামসুদ্দোহা বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম সৃজনশীল প্রকাশক পরিষদের সভাপতি মহিউদ্দিন শাহ
আলম নিপু,সাধারণ সম্পাদক জামালউদ্দিন বক্তব্য রাখেন।
এসময় কাউন্সিলর মোহাম্মদ আজম,সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবিদা আজাদসহ লেখক,শিক্ষক,শিক্ষার্থী,সাংবাদিক ও বিশিষ্ট ব্যাক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বইমেলা উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব, চসিক প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা সুমন বড়ুয়া।
মেয়র আরো বলেন আগামী ২৯ মার্চ চসিক নিবার্চন
অনুষ্ঠিত হবে। এই নিবার্চনে বিজয়ী মেয়রই আগামী বছর বইমেলা আয়োজনের দায়িত্ব পালন করবে । বিগত এবং এ বছর বিনা ফিতে জিমনেশিয়ামসহ আশে পাশের এলাকাকে বই মেলার জন্য ব্যবহার করা হয়েছে। আগামী বছরগুলোতে এই মেলা
আয়োজনের জন্য চসিক সিজেকেএস এর সহযোগিতা চাইলে বিনা ফিতে বইমেলা আয়োজনের সহযোগিতা প্রদান করা হবে।
তিনি বলেন দায়বদ্ধতা থেকে এই দায়িত্ব পালন করা হবে। এতে কোনো বিনিময় থাকবে না। এই বইমেলা
অনুষ্ঠানের ব্যাপারে সবসময় আমার সহযোগিতার হাত উম্মুক্ত থাকবে।
মেয়র এই বইমেলার সার্বিক সহয়োগিতার জন্য সৃজনশীল প্রকাশনা পরিষদসহ সকলকে ধন্যবাদ জানান। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে চসিক প্রধান নিবার্হী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সামসুদ্দোহা সিজেকেএস এর সকল কর্মকর্তাদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, সিজেকেএস সার্বিক সহযোগিতা না পেলে এত বড় পরিসরে বইমেলা আয়োজন সম্ভব হতো না। এই বই মেলা অয়োজন হওয়ায় চট্টগ্রামের বইপ্রেমি মানুষের দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা পূরণ হয়েছে। এই মেলায় এবছর ১৮কোটি টাকার বই বিক্রি হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। পরে মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন শ্রেষ্ঠ
প্রকাশক ও বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় বিজয়ী শিশু কিশোরদের মাঝে পুরষ্কার বিতরণ করেন। এবারের বই মেলায় সেরা স্টলের মধ্যে প্রথম অক্ষরবৃত্ত, দ্বিতীয় কুঁড়েঘর,ও যৌথভাবে তৃতীয় চন্দ্রবিন্দু ও পেন্সিলকে পুরস্কার তুলে দেন সিটি মেয়র।