বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বের এই ক্লান্তিলগ্নে করোনাভাইরাস আতঙ্কে লকডাউন হয়ে ঘরে বসা যখন সারা বাংলার মানুষ, তখনো দেশ ও জাতির কল্যাণে, পরিবার-পরিজন সন্তান-সন্ততির কথা না ভেবেই দায়িত্ব ও কর্তব্যের কাছে হার মেনে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সংবাদ সংগ্রহের জন্য পথেঘাটে বেড়াতে হচ্ছে সংবাদকর্মীদের।
রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ সংবাদপত্র ও সাংবাদিক। শুধু মাত্র রাষ্ট্র ও রাষ্ট্রের জনগণের অধিকার সুনিশ্চিত করতে কলম সৈনিকেরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কলম যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছেন। খবরের পেছনে অক্লান্ত পরিশ্রম করে ঘুরে ঘুরে খবরের পিছনের খবর সংগ্রহ করেন।
রাষ্ট্র ও সমাজের সকল অনিয়ম অবিচারের বিরুদ্ধে কলম সৈনিকেরাই প্রতিনিয়ত যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছেন।
বর্তমানে ফেসবুক-টুইটার-ইনস্টাগ্রাম ইউটিউবে,ছাপা কাগজে, টিভিতে, অনলাইনে খবরের সাইটে, সামনাসামনি অথবা ফোনের মাধ্যমে অনেক মানুষ প্রাণঘাতী নভেল করোনা ভাইরাসের সর্বশেষ তথ্য জানতে চাইছে। নিজেকে আর প্রিয়জনকে নিরাপদে রাখার জন্য তথ্য ও পরামর্শ খুঁজছেন।
আর সংবাদকর্মীগণ সময়ের সত্যকে খোঁজে-দেখে-জেনে-বুঝে জনমানুষকে তা জানিয়ে থাকেন।
অথচ সাংবাদিকরা নিজেরাই নিরাপত্তাহীনতায় ভোগেন জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে।
প্রাণঘাতী মরণ আতঙ্ক নভেল করোনাভাইরাসের কালে অজানা অনিশ্চয়তার ভয়, রোজকার জীবনের কঠিন ভার বহন করে যাচ্ছেন সাংবাদিকগণ।
আর আজ সেই সাংবাদিকরা যদি খাদ্য সঙ্কট, অর্থাভাব, মহামারী করোনাভাইরাস আতঙ্কে না বাঁচেন, তাহলে রাষ্ট্র ও রাষ্ট্রের নাগরিক বাঁচা বড়ই দায়।
সুতরাং তৃণমূল পর্যায়ের সাংবাদিক সহ, সকল সাংবাদিককে করোনা মোকাবিলায় রাষ্ট্রীয় বিশেষ সুবিধা সহ ঝুঁকি বীমা চালু করার ঘোষণা করার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বরাবর বিশেষ আহ্বান জানিয়েছেন বিএমএসএফ চট্টগ্রাম জেলা কমিটির দপ্তর সম্পাদক সাংবাদিক এম এ আশরাফ।