রায়হানুল ইসলাম,( চট্টগ্রাম):-
ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড করা হলেও থামছেনা ধর্ষণ মামলা, তাছাড়া শিশু ধর্ষনের মাত্রাও বেড়েছে দেশে।
চট্টগ্রাম নগরীর ডবলমুরিং থানাধীন দক্ষিণ ঝর্নাপাড়া এলাকায় চতুর্থ শ্রেণীর এক ছাত্রীকে জোরপূর্বক ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে দুলাল (৩২) নামের এক নৈশ প্রহরীর বিরুদ্ধে।
জানা গেছে, মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) দুপুর আনুমানিক ১২ টার দিকে ঝর্ণাপাড়া এলাকার বাসিন্দা নজরুলের মেয়ে ৪র্থ শ্রেণীর ছাত্রী সাইমা (ছদ্মনাম)(১০) একটি নোট আনতে একই এলাকার সাহাবুদ্দিন ম্যানসনে তার সহপাঠীর বাসায় যাওয়ার সময় ঘাতক দুলাল(৩২) তাকে দেখতে পেয়ে জোরকরে বাসার দরজার বাহিরে একটি বাথরুমে টেনে নিয়ে যায়। ওই অবস্থায় সাইমা(ছদ্মনাম) (১০) চিৎকার করতে লাগলে তার মুখ চেপে ধরে নরপিশাচ দুলাল তাকে হুমকি দেয় যে, চিৎকার করলে বা কেউ কে কিছু বললে তোর বাবা- মাকে মেরে ফেলবো। এই বলে দুলাল, ধস্তাধস্তি করে শিশুটির সাথে ধর্ষণ চেষ্টা করলে মেয়েটি তার হাতে কামড় দিয়ে নিজেকে নরপিশাচ দুলালের হাত থেকে বাঁচানোর চেষ্টা করে।
ঠিক ওই সময়ে দুলাল বাথরুমের বাহিরে বাড়িওয়ালার উপস্থিতি টের পেয়ে পুনরায় শিশুটির মুখ চেপে ধরে। বাড়িওয়ালা একটু সরে গেলে দুলাল শিশুটিকে বাথরুমের ভিতরে রেখে বাহিরে তালাবদ্ধ করে দেয়। পরে মেয়েটির চিৎকার চেচামেচি টের পেয়ে পাশের ভাড়াটিয়া নজরুল বাড়িওয়ালা কে জানায় যে বাথরুমে কে যেন আছে, বাড়িওয়ালা ও প্রতিবেশী একপর্যায়ে শিশুটিকে কে উদ্ধার করলে মেয়েটি তাদের সব বলে দেয় এবং মেয়েটিকে তারা বাসায় পাঠিয়ে দেয়।
ঘটনার দিন সন্ধ্যা ৭ টার দিকে তার মা গার্মেন্টস থেকে ফিরে বিষয়টি মেয়ের কাছ থেকে জানতে পারে। পরে তার বাবাও সিএনজি চালিয়ে ঘরে ফিরলে ঘটনাটি তিনি জানতে পারে। পরে তার মা এ বিষয়ে জিগ্যেসা করতে দুলালের কাছে গেলে দুলাল বলে হ্যাঁ করেছি তো কি হয়েছে যা কাকে আনবি নিয়ে আয় এই বলে শিশুটির মায়ের গায়ে হাত তুলে । পরে এই ঘটনা এলাকায় জানাজানি হলে দুলাল এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়।
স্থানীয়দের মাধ্যমে সংবাদকর্মীরা বিষয়টি জানতে পেরে ঘটনা স্থলে গিয়ে শিশুটির কাছ থেকে ও তার বাবা-মার কাছ থেকে ঘটনার সত্যতা জানা যায়। পরে তাদের আইনি সহায়তা নিতে বলা হলে ভুক্তভোগীর মা শাহীনুর বেগম বাদী হয়ে ডবলমুরিং থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করেন।
গোপন সূত্রে জানা গেছে , অভিযুক্ত আসামী দুলাল গ্রেফতারের ভয়ে কুমিল্লাতে তার মামার বাড়িতে অবস্থান করছে।