নিজস্ব প্রতিবেদকঃ-
ট্রান্স ফ্যাট কৃত্রিমভাবে তৈরি ক্ষতিকর ফ্যাট, যা বেকারি পণ্য, প্যাকেটজাত ও ভাজাপোড়া খাবারে থাকে। ট্রান্স ফ্যাট উচ্চমাত্রায় খাদ্যে ব্যাবহারের ফলে হৃদরোগ, হার্ট অ্যাটাকসহ মৃত্যুঝুঁকি বাড়ায়। কারখানায় উৎপাদিত খাদ্যে স্বাভাবিক পরিমাণের চেয়ে উচ্চ মাত্রার ট্রান্সফ্যাট ব্যবহারে ব্যবসায়িদের দায়িত্বশীল হতে হবে, তেমনিভাবে ভোক্তাদেরও সুস্থভাবে বেচে থাকার জন্য ট্রান্স ফ্যাটযুক্ত খাবার গ্রহণ থেকে বিরত থাকতে হবে। আজ শনিবার (১৪ নভেম্বর) সকাল ১০ টায় নগরীর মোটেল সৈকতের সাম্পান হলে ক্যাব, ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন, প্রজ্ঞা ও গ্লোবাল হেলথ অ্যাডভোকেসি ইনকিউবেটর আয়োজিত ওরিয়েন্টেশন কর্মশালায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) এর চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাধারণ সম্পাদক ইকবাল বাহার ছাবেরীর সঞ্চালনায় ও ক্যাব কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি এস এম নাজের হোসাইনের সভাপতিত্বে কর্মশালায় অংশগ্রহন করেন সাংবাদিক ও ক্যাবের সদস্য/ সদস্যরা ।
কর্মশালায় ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হসপিটাল অ্যান্ড রিচার্স ইনস্টিটিউটের ট্রান্স ফ্যাট প্রজেক্টের কো-অর্ডিনেটর ডা. শেখ মোহাম্মদ মাহবুবুস সোবহান বলেন, দেশে মৃত্যু ও পঙ্গুত্বের মূল ঝুঁকি সুষম খাদ্যগ্রহণে অসচেতনতা, তামাক গ্রহণ, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, উচ্চ কোলেস্টেরল ও অতিরিক্ত ওজন। অসংক্রামক রোগে মৃত্যু কমাতে খাদ্যাভ্যাসে গুরুত্ব দিতে হবে। শাকসবজি, ফল, আঁশযুক্ত, উপকারী চর্বিযুক্ত খাবার গ্রহণ করতে হবে।
প্রজ্ঞার প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর মাহমুদ আল ইসলাম শিহাব বলেন, ‘ডালডা বা আংশিক হাইড্রোজেনেটেড অয়েলের নমুনায় অধিকমাত্রার ট্রান্স ফ্যাটি অ্যাসিডের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। এই ট্রান্স ফ্যাট নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে ২০৩০ সালের মধ্যে অসংক্রামক রোগে আক্রান্ত হয়ে অকাল মৃত্যুর সংখ্যা কমিয়ে আনা কোনভাবেই সম্ভব না। প্রতি বছর বিশ্বে ১ কোটি ৭৯ লাখ মানুষ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করে। এর মধ্যে ২ লাখ ৫০ হাজার মানুষ শিল্প-কারখানায় উৎপাদিত ট্রান্স ফ্যাট গ্রহণের কারণে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়। যেকোনো ধরনের খাবারে সর্বোচ্চ ২ শতাংশ পরিমাণের ট্রান্স ফ্যাট থাকতে পারবে। এর অধিক থাকলে তা ক্ষতিকর হয়ে দাঁড়াবে।
কর্মশালায় ভোক্তা অধিকার মিডিয়া অ্যালায়েন্স’র আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়। এতে সৈয়দ আলমগীর সবুজকে আহ্বায়ক, হামিদ উল্লাহ ও রেজা মুজাম্মেলকে যুগ্ম আহ্বায়ক এবং প্রীতম দাশকে সদস্য সচিব করে ভোক্তা অধিকার মিডিয়া অ্যালায়েন্স গঠন করা হয়।