আবু হেলাল,(শেরপুর প্রতিনিধি ):-
শেরপুরে সব কয়টি উপজেলায় টানা ১৮ দিন পরে সাময়িক ভাবে কর্মবিরতি স্থগিত করেছেন সরকারি স্বাস্থ্যকর্মীরা। বাংলাদেশ হেল্থ এসিসট্যান্ট এসোসিয়েশন কেন্দ্রীয় কমিটি কর্তৃক কর্মবিরতি স্থগিতাদেশর প্রতি সম্মান রেখে ও তাদের ফাইল ওয়ার্কিং-এ যাবতীয় সহযোগিতায় যথাযথ কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করে গতকাল বিকেলে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মধ্যদিয়ে তাঁরা কর্মবিরতি কর্মসূচি স্থগিত করেন।
সোমবার ১৪ ডিসেম্বর থেকে তাঁরা নিজ নিজ কর্মক্ষেত্রে ফিরে যাবেন বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ হেল্থ এসিসট্যান্ট এসোসিয়েশন জেলা-উপজেলা কমিটির নেতৃবৃন্দ ও স্বাস্থ্যকর্মীরা। গত রবিবার বাংলাদেশ হেল্থ এসিসট্যান্ট এসোসিয়েশন জেলা কমিটির সভাপতি মো. মশিউর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেনের স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে তাদের ন্যায্য দাবী সমূহ বাস্তবায়নের লক্ষে সক্রিয়ভাবে কর্মবিরতি কর্মসূচিতে অংশ গ্রহণ করায় সকল স্বাস্থ্য পরিদর্শক, সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক ও স্বাস্থ্য সহকারীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জাননো হয়। তাছাড়া যেসকল সংবাদ মাধ্যম তাদের পালিত কর্মসূচি নিয়মিত প্রচার-প্রকাশ করে সরকারের দৃষ্টিতে আনতে সহায়তা করেছেন সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতিও অশেষ কৃতজ্ঞতা প্রকাশের পাশাপাশি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ হেল্থ এসিসট্যান্ট এসোসিয়েশন কেন্দ্রীয় কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক ২৬ নভেম্বর বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৮ টা থেকে এ কর্মবিরতি কর্মসূচি শুরু করেছিলেন জেলায় কর্মরত সকল স্বাস্থ্য পরিদর্শক, সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক ও স্বাস্থ্য সহকারীরা।
তাদের দাবী সমূহ হলো- নিয়োগ বিধি সংশোধন করে স্বাস্থ্য সহকারীদের ১৩ তম গ্রেড, সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শকদের ১২ তম গ্রেড ও স্বাস্থ্য পরিদর্শকদের ১১ তম গ্রেড প্রদানের মাধ্যমে বেতন বৈষম্য নিরসন করা। জানা গেছে, ১৯৯৮ সালের ৬ ডিসেম্বর মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা তাদের নিয়োগ বিধি সংশোধন পূর্বক তাদের বেতন বৈষম্য নিরসনের ঘোষনা দেন। অত:পর ২০১৮ সালের ২ জানুয়ারী তৎকালীন মাননীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী আমাদের ন্যায্যদাবী সমূহ মেনেনিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের নির্দেশ দেন। কিন্তু অজ্ঞাত কারনে তা আজও বাস্তবায়ন করা হয়নি। তাই চলতি বছরের ২০ ফেব্রুয়ারীতে পুনরায় তারা হাম-রুবেলা ক্যাম্পেইনের কার্যক্রম বর্জন করলে মাননীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রী মহোদয় ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মহোদয় তাদের দাবী সমূহ পুনরায় মেনে নিয়ে লিখিত সমঝোতা পত্রে স্বাক্ষর করেন। কিন্তু দু:খ জনক হলেও সত্যি যে, ওই লিখিত সমঝোতা পত্রের সিদ্ধান্ত সমূহ আজ পর্যন্ত বাস্তবায়ন করা হয়নি, তাই এই কর্মসূচির ডাক দিয়েছিলেন। দেশ ও জাতির ভবিষ্যত চিন্তা করে আপাতত চলমান কর্মবিরতি কর্মসূচি স্থগিত করেছেন বলে তাঁরা জানিয়েছেন।