আবু হেলাল,( শেরপুর প্রতিনিধি) :-
শেরপুর জেলার শেরপুর সদর উপজেলার পাকুড়িয়া ইউনিয়নের পূর্বপাড়া গ্রামের আমজাদ হোসেন(৩৭) নিখোঁজের ৭ দিন গত হলে কোন সন্ধান মেলেনি। নিখোঁজ আমজাদ হোসেন মৃত আব্দুল হামিদের ছেলে।
নিখোঁজের পরিবার জানায় , গত ১২ ডিসেম্বর শনিবার আমজাদ হোসেন রাত অনুমানিক ৮.৩০ ঘটিকার দিকে কয়েল কেনার জন্য বাড়ী থেকে বের হলে আর বাড়ী ফিরে আসেনি । আমজাদ বাড়ীতে ফিরে না আসায় তার পরিবারের লোকজন বিভিন্ন জায়গায় খোঁজখোজি করে আমজাদের কোন সন্ধান না পেয়ে অবশেষে গত ১৫ ডিসেম্বর আমজাদের স্ত্রী লিপি আক্তার বাদী হয়ে শেরপুর সদর থানায় একটি সাধারন ডায়রী করেন। যাহার নম্বন-৮৫২।
এলাকাবাসী জানায়, আমজাদ ও তার স্ত্রী লিপি বেগম উভয়েই নরসিংদীর একটি গার্মেন্টস এ চাকুরী করেন । আনুমানিক গত এক মাস আগে স্বস্ত্রীক গ্রামে আসেন বাড়ীতে ঘর তোলার জন্য । আমজাদের ঘর তোলার দাগের জায়গার মোট ৫৬ শতাংশ জমি নিয়ে গত প্রায় ৭ বছর ধরে চাচা আবু সাঈদ, বাবু, মাসুম বনাম আমজাদ, বাবুল ওরফে বশা ও হান্নান মিয়া গংদের মধ্যে বিরোধ চলে আসছে। এ নিয়ে উভয় পরিবারের মধ্যে মিমাংসার জন্যে অনেকবার শালিস বৈঠক হয়েছে। কিন্তু কোন সমাধান হয়নি। সবর্শেষ গত প্রায় ১মাস আগে উভয় পরবারের শান্তির লক্ষে পাকুড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব হায়দার আলীর উদ্যোগে একটি শালিস হয়।
উক্ত শালিসে শেরপুর জেলা আওয়ামীলীগের নেতা বিল্লাল হোসেন, তোতা মিয়া,দলিল লেখক হানিফ উদ্দিন,পাকুড়িয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আনিসুর রহমান আনিস, পাকুড়িয়া ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি আআশ্রাফ আলী, সাধারণ সম্পাদক ছোরহাব আলী, ৯নং
ওয়ার্ডের সভাপতি আফাজ উদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক হানিফ উদ্দিন, হবি মিয়া, জাকের পার্টির জেলার সভাপতি খাজা শ্যামল, বিভাগীয় নেতা আমিনুল ইসলাম, দলিল লেখক শহিদুল, সোহেল আমিন, সাবেক মেম্বার রশিদ, যুবলীগ নেতা সাইফুল ইসলাম, সাংবাদিক নাজমুল হোসাইনসহ এলাকার সবর্স্তরের উপস্থিতিতে তকির্ত ৫৬ শতাংশ জমির মধ্যে কাগজমূলে আবু সাঈদ গংরা পায়- ৩০ শতাংশ জমি এবং ২৬ শতাংশ পায় আমজাদ গংরা। শালিসে সবর্সম্মতিক্রমে এবং স্থায়ী মিমাংসার স্বাথের্ আবু সাঈদ গংদের ২১শতাংশ জমির রায় দেন। বাকি ৩৫ শতাংশ জমি ভাতিজা আমজাদ, বাবুল ওরফে বশা এবং হান্নানকে বন্টন করে দেওয়ার জন্য উক্ত শালিসে চেয়ারম্যান হায়দার আলী মোজাহিদ কমিটির বিভাগীয় নেতা আমিনুল ইসলামকে দ্বায়িত্ব দেন। উক্ত গ্রাম্য শালিসের আনুমানিক ৭/৮দিন পর আমজাদ বাদী হয়ে তকির্ত ৫৬শতাংশ জমির উপর আমিনুল ইসলাম গংদের বিবাদী করে আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর আমজাদের নিখোঁজ হওয়াটা একদিকে যেমন রহস্যজনক অন্যদিকে উদ্দেকেরও কারণ। নিখোঁজ আমজাদের সন্ধান নিশ্চিত করতে পাইলেই প্রকৃত ঘটনা বেরিয়ে আসবে বলে ধারনা করছে এলাকাবাসী।
এ ব্যাপারে শেরপুর থানার জিডি তদন্ত কমর্কতার্ এসআই আনোয়ার হোসেন বলেন, নিখোঁজ আমজাদের সন্ধানে বিভিন্ন ভাবে সম্ভাব্য সব স্থানে অনুসন্ধান চালানো হচ্ছে।
এ ব্যাপারে শেরপুর সদর থানার ওসি মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, এ ব্যাপারে তদন্ত ও অভিযান অব্যাহত আছে, তদন্ত শেষ না হওয়া পযর্ন্ত কিছু বলা যাচ্ছেনা।