আবু হেলাল, (শেরপুর প্রতিনিধি ) :-
এক অসহায় প্রতিবন্ধী শিশুকে গাছের সাথে বেঁধে রেখে ভিক্ষাবৃত্তি করে জীবিকা নিবার্হ করছেন শিশুটির দাদী মালেকা বেওয়া। শেরপুর সদর উপজেলার পাকুড়িয়া ইউনিয়নের ভাটিয়াপাড়া গ্রামে এমন ঘটনা ঘটে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত ৪ বছর আগে ওই গ্রামের দরিদ্র রিক্সা চালক মালেক (৩৫) এর সাথে নকলা উপজেলায় নিবাসী খুশি(৩০) এর বিবাহ হয়। তাদের বিবাহিত জীবনের ১বছর পর জন্ম নেয় প্রতিবন্ধী মেয়ে শিশু মাহী(৪) । মাহীর জন্মের কিছুদিন পর মালেক ও খুশির বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে। এর কিছুদিন পর খুশি তার দুধের প্রতিবন্ধী শিশুটিকে দাদী মালেকা বেওয়ার কাছে ফেলে রেখে অন্য একজনকে বিবাহ করে চলে যায়।
অপরদিকে বিবাহ বিচ্ছেদের পর শিশুটির বাবা মালেক মিয়া ঢাকায় পাড়ি জমায়। অবুঝ ও প্রতিবন্ধী শিশু মাহীর একমাত্র ঠিকানা হয় দাদী মালেকা বেগমের উপর। দাদী মালেকা বেগমের কোন সহায় সম্ভল এবং দেখবালের কোন লোক না থাকায় গত ৪বছর যাবৎ প্রতিবন্ধী শিশু মাহীকে সকালে গাছের সাথে বেঁধে রেখে ভিক্ষাবৃত্তির জন্য বের হন। আবার যখন বাড়ীতে ফেরেন, তখন মাহীকে বাধঁন মুক্ত করে দাদী মালেকা নাতি মাহীকে সেবাযত্ন করেন। আর এভাবেই চলছে দাদী মালেকা ও প্রতিবন্ধী মাহীর করুন জীবন জীবিকা!
বিষয়টি নিশ্চিত করেন, পাকুড়িয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের ৩নং সাংগঠনিক সম্পাদক ইমরান হোসেন। সরেজমিনে গিয়ে দেখা মেলে এ নিমর্ম বাস্তবতার। দাদী মালেকার এমন পদ্ধতি ছাড়া তাদের উভয়ের জীবন অচল।
এ ব্যাপারে পাকুড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ হায়দার আলীর সাথে যোগাোযোগ করা হলে তিনি বলেন, ” বিষয়টি আমি আজই প্রথম শুনলাম, আমি খোঁজ নিয়ে দেখবো এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবো।
” অপরদিকে একজন সংবাদকর্মি হিসেবে আমি বলতে চাই, এমন একটি নিমর্ম ঘটনা ইতিপূর্বে ওই এলাকার এলাকাবাসী, জনপ্রতিনিধি বা সুশিল সমাজের নজরে আসা কি প্রয়োজন ছিলনা? শেরপুরের প্রশাসন বিষয়টির প্রতি নজর দেবেন কি?