মোহাম্মদ আব্দুল গফুর :-
আসন্ন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে নগরীতে সাধারন ছুটি না থাকায় পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে না পারার আশংকায় পড়েছে নগরীর বেসরকারী শিল্প-কারখানা ও প্রতিষ্ঠানের লাখ-লাখ চাকুরীজীবীরা। গত শনিবার (২৩ জানুয়ারি) বিকেলে চট্টগ্রাম জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র সচিব মো. আলমগীরের মুখে ভোটের দিন “ছুটি থাকবেনা এমন বক্তব্যে এ আশংকা তৈরি হয় তাদের মাঝে।
ভোটের দিন সাধারণ ছুটি না থাকার বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের এমন সিদ্ধান্তে ইতিমধ্যেই নগরের চাকুরীজীবি মহল ও নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী দল বিএনপির পক্ষ থেকে ব্যক্ত করা হয়েছে বিরূপ প্রতিক্রিয়া।
নগরীর সিইপিজেডে পোষাক কারখানায় কাজ করে এমন একাধিক চাকুরীজিবীর সাথে এই বিষয়ে জানতে চাইলে তারা তাদের পরিচয় গোপন রাখার শর্তে “শুভ সকালক নিউজকে বলেন , ফ্যাক্টরিতে কাজের চাপ আছে ভোট দিতে আমাদের ছুটি দিবে বলে মনে হয়না। তাদের মধ্যে অন্য একজন নিজেকে পাহাড়তলী ৯ নং ওয়ার্ডের ভোটার দাবি করে বলেন, ইপিজেড থেকে ছুটি নিয়ে অত দূরে এসে ভোট দেওয়া সম্ভব নয়, কারন রাস্তায় যানজট আর যাতায়াত খরচও হবে অনেক। আরেকজন চাকুরীজিবী বলেন, ভোট দেওয়ার জন্য একসাথে অত মানুষকে কি আর মালিক পক্ষ গেইটপাশ দিবে?
এদিকে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বিএনপির মনোনিত ধানের শীষের মেয়র প্রার্থী ডাঃ শাহাদাত হোসেন এক নির্বাচনী প্রচার সভায়, ভোটের দিন সাধারণ ছুটি না রাখার বিষয়ে মন্তব্য করে বলেছেন,চট্টগ্রাম মহানগর হচ্ছে শিল্প ও ব্যবসাবান্ধব নগরী, এখানে হাজার হাজার কলকারখানায় লাখ লাখ শ্রমিক কাজ করছে। ভোটের দিন ভোটাররা তাদের কর্মস্থলে না গিয়ে ভোট কেন্দ্রে কিভাবে যাবে? এতে করে ভোটার উপস্থিতি কমে যাবে। এ সুযোগে সরকারি দল তাদের প্রার্থীকে বিজয়ী করতে নগরীতে বহিরাগত সন্ত্রাসীদের দিয়ে ভোট কেন্দ্র দখলের চেষ্টা চালাবে।