নিজস্ব প্রতিবেদকঃ-
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সদ্য বিদায়ী প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন বলেছেন , আমি প্রশাসকের দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে বিগত ছয় মাস যাবৎ গনমাধ্যম যেভাবে আমাকে সহযোগিতা ও উৎসাহ দিয়েছে তার ঋণ আমি কখনো শোধ করতে পারবোনা , গনমাধ্যমের কাছে আমি চির কৃতজ্ঞ থাকবো । এই কৃতজ্ঞতা জানানোর জন্য সাংবাদিকদের সাথে আজকের এই মতবিনিময় সভা । আজ বৃহস্পতিবার সকালে চিটাগাং সিনিয়রস ক্লাব লিঃ এর অডিটোরিয়ামে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভায় এসব কথাগুলো বলেন তিনি।
মতবিনিময় সভায় তিনি আরো বলেন , নগরীর সুবিধাভোগী সংস্থা চট্টগ্রাম বন্দর, কাস্টমস ও ইপিজেড যদি তাদের আয়ের এক শতাংশ সার্ভিজ চার্জ দেয় তাহলে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন আত্মনির্ভরশীল হবে এবং আশে-পাশে শহর ও উপশহরগুলোও চালাতে পারবে।
এই ইপিজেডে এক হাজার ছয়শতটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে উল্লেখ করে সুজন বলেন , তাদের মাঝে মাত্র ১২ টির ট্রেড লাইসেন্স আছে। ইপিজেডের প্রতিষ্ঠানগুলোকে কোন কর দিতে হয় না। অথচ তারা চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনেরবেশী পরিমান সুবিধা ভোগী। তিনি আরো বলেন, আমি আমার অভিজ্ঞতা থেকে বুঝেছি যে, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের দশ হাজারের বেশী জনবল আছে। কিন্তু
এর মধ্যে এক হাজার জনও দক্ষ নেই। এই দক্ষ জনবল নিয়োগে সিটি কর্পোরেশনকে অগ্রানোগ্রাম অনুযায়ী ক্ষমতা দিতে হবে। তিনি উল্লেখ করেন যে, পরিচ্ছন্ন বিভাগে অতিরিক্ত জনবল হাজিরায় আছে। তবে তারা অধিকাংশই কাজে নেই। ।
সদ্য বিদায়ী প্রশাসক বলেন, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী করদাতাদের দেয়া অর্থে চলেন। তাই কর দাতাদের সম্মান করতে হবে। এ লক্ষ্যে কর আদায় পদ্ধতি সহজ করতে হবে। তিনি চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের শিক্ষা ও স্বাস্থ্য সেবাখাতকে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে অবহিত করে বলেন, সাবেক সিটি মেয়র জননেতা এ.বি.এম মহিউদ্দিন চৌধুরী এই দুটি খাতকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়েছিলেন। তাই এই দুটি খাত দেশে বিদেশে প্রসংশিত। তবে এই দুটি খাতে সিটি কর্পোরেশনকে বিপুল পরিমাণ
ভূর্তুকি দিতে হয়। এই ভূতুর্কি সিটি কর্পোরেশনের জন্য বোঝা। শিক্ষা খাতে প্রাইমারী ও মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত চসিকের আওতায় থাকতে পারে। আমি এমনও জানি যে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আর্থিকভাবে স্বয়ং সম্পূর্ণ সেগুলোকেও সিটি কর্পোরেশনের অধিনে আনা হয়েছে, এটা কোন প্রয়োজন ছিল না।
তিনি চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের অধীনে পরিচালিত স্বাস্থ্য সেবা প্রতিষ্ঠানগুলোকে লাভজনক হিসেবে আখ্যায়িত করে দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, এসবের পরিচালনা ব্যবস্থায় ত্রুটি আছে। এই খাতে বিদেশী বিনিয়োগ করার জন্য আমি নির্বাচিত পরিষদকে
আহবান জানাতে অনুরোধ করছি।
সভায় প্রশাসক আরো উল্লেখ করেন যে, চট্টগ্রাম বন্দর অফিসিয়াল হিসেব অনুযায়ী বার্ষিক ৩৬ কোটি টাকা কর দেয় কিন্তু ন্যায্য হিসেব করলে সিটি কর্পোরেশন পাবে ২১৬ কোটি টাকা। আমি আশা প্রকাশ করবো চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের নবনির্বাচিত পরিষদ এ ব্যাপারে প্রাপ্য হিসাব আদায় করে নেবেন।