ধর্ম হলো মানুষের বিশ্বাসের বিষয়। সত্যিকারের ধর্মচর্চা মানুষকে নীতি নৈতিকতা, মূল্যবোধের শিক্ষা দেয়। অসত্যের পথ থেকে আলোর পথে নিয়ে আসে। জাগ্রত করে বিবেককে। আজ দুপুরে কাতালগঞ্জ নব পতি বিহারে সংঘনায়ক অধ্যাপক বনশ্রী মহাথেরো ও উপ সংঘনা রতনশ্রী মহাথেরোর বরণোৎসবে প্রধান অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী একথা বলেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ বৌদ্ধ ভিক্ষু মহাসভার সভাপিত সদ্ধর্মজ্যোতি শাসনতিলক সুনন্দ মহাথেরো। উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ বৌদ্ধ কৃষ্টি প্রচার সংঘের সভাপতি ভদন্ত বুদ্ধপ্রিয় মহাথেরো। স্বাগত ভাষণ দেন বাংলাদেশ বৌদ্ধ ভিক্ষু মহাসভার মহাসচিব ভদন্ত বোধিমিত্র মহাথেরো।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন প্রফেসর বিকিরণ প্রসাদ বড়ুয়া, উপানন্দ মহাথেরো,সংঘানন্দ থেরো, সুমঙ্গল থেরো, করুনাশ্রী থেরো,সুপালবংশ থেরো, শ্রদ্ধানন্দ থেরো, ভিক্ষু তন্ধসঢ়;হংকর থেরো ও প্রকৌশলী জয়সেন বড়ুয়া।
মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, বৌদ্ধ সভ্যতা অনেক প্রাচীন। এর ইতিহাস ঐতিহ্য আছে। বাংলাদেশের প্রত্বত্তীয় বেশিরভাগ সভ্যতাই বৌদ্ধধর্মীয়। বুদ্ধের অহিংস বাণী এই উপমহাদেশে প্রচার ও প্রসার লাভ করে। এই বাণীর
মমার্থকে ধারণ করে মানবিকতা অর্জন করলেই প্রকৃত মানুষ হওয়া যায়। তিনি প্রত্যেক ধর্মানুসারীকে অসাম্প্রদায়িক চেতনাকে ধারণ করে এগিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, তাহলেই স্বাধীনতার সুফল মিলবে। মেয়র সব ধর্মানুসারীর মধ্যে সম্প্রীতির বন্ধন অটুট থাকবে এটা প্রত্যাশা করেন। মুজিববর্ষে এটায় হোক আমাদের সবার অঙ্গীকার।
তিনি চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার ক্ষেত্রে বিশেষ ক্ষেত্রে বিশেষ বিশেষজ্ঞ, সমাজের মুরুব্বী গুনীজনদের পরামর্শ নেবেন বলে নিজের অভিমত ব্যক্ত করেন।
সভায় বৌদ্ধ গবেষণা কেন্দ্র স্থাপন ও কাতালগঞ্জ নব প-িত বিহারের অধিগ্রহনকৃত জায়গার ব্যাপারে মেয়রের সহযোগীতা চাইলে সম্ভাব্য সব ধরনের সহযোগীতা করা হবে বলে জানানো হয়। শুরুতে দলীয় নৃত্য সংগীত পরিবেশন করা হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিঃ