মুহাম্মদ আবু হেলাল, (শেরপুর ) :-
শেরপুর জেলার সীমান্তবর্তী শ্রীবরদী উপজেলার ভায়াডাঙ্গা- খাড়ামুড়া সড়কটি সংস্কার, সম্প্রসারন ও পাকাকরনের অভাবে চরম দুর্ভোগে পড়েছে হাজারো মানুষ । সড়কটি ইতোমধ্য চলাচলেরও অনুপযোগী হয়ে পড়েছে । ভায়াডাঙ্গা বাজার থেকে বিলভরট, মালাকুচা,হালুয়াহাটি,বা লিজুরি হয়ে খাঁড়ামুড়া পর্যন্ত এলজিইডি’র প্রায় ৯ কিলোমিটার সড়ক রয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ভায়াডাঙ্গা বাজার থেকে বালিজুরি বাজার পর্যন্ত ৭ কিলোমিটার রাস্তা গত ২বছর পূর্বে পাকাকরন করা হয়। সডকটি নিয়ে অভিযোগ উঠেছে, ঠিকাদার নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহার করে নির্মাণ কাজ করায় ও উক্ত রাস্তায় বালু বোঝাই ট্রাক, ট্রলিও মাহিন্দ্র অবাধে যাতায়াতের কারণে রাস্তার বিভিন্ন স্থানে খানাখন্দকের সৃস্টি হয়ে যানচলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। সংস্কার,সম্প্রসারন ও পাকাকরনের অভাবে এ পথে চলাচলকারী হাজারো মানুষের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
ঐ এলাকার অনেকেই জানান,রাস্তাটি খানাখন্দের সৃস্টি হয়ে যানচলাচল অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। তাদের মতে এ সড়কে অটোরিকশা চলাচল করলেও রাস্তাটি খানাখন্দের সৃষ্টি হওয়ায় যাতায়াতকারীদের সময় অপচয় হওয়ার পাশাপাশি অতিরিক্ত অর্থও গুনতে হচ্ছে তাদেরকে। তাঁরা বলেন, ৫ টাকার ভাড়া ১৫-২০ টাকা দিতে হয় তাদের। এছাড়াও সরু এপথে একটি ট্রাক প্রবেশ করলে অন্য কোন যানবাহন কেটে যাওয়ার কোনো সুযোগ পর্যন্ত থাকে না। বর্তমানে রাস্তাটি সংস্কার সম্প্রসারন ও পাকাকরনের অভাবে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। দুর্ভোগের শিকার হতে হচ্ছে হাজারও মানুষের।
রানিশিমুল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাসুদ রানা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, রাস্তাটি সংস্কার সম্প্রসারন ও পাকাকরনের বিষয়ে উপজেলা উন্নয়ন ও সমন্বয় কমিটির সভায় বহুবার আবেদন নিবেদন করা হয়েছে। কিন্ত কোন কাজে আসেনি। এ ব্যাপারে শ্রীবরদী উপজেলা প্রকোশলী জাহাঙ্গীর হোসাইনের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, রাস্তাটি সংস্কার সম্প্রসারন ও পাকাকরনের বিষয়ে প্রস্তাব প্রেরন করা হয়েছে। অনুমোদন পাওয়া গেলে ব্যাবস্থা নেয়া হবে।
দুর্ভোগে থাকা এলাকাবাসী সড়কটির প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরের উধ্বর্তন কতৃর্পক্ষের সুনজর কামনা করছেন।