দীর্ঘ ২০ বছর পর আফগানিস্তানে ক্ষমতায় বসেছে তালেবান। ক্ষমতায় বসার সঙ্গে সঙ্গে শান্তিপূর্ণ পরিবেশের প্রতিশ্রুতি দিলেও কয়েক যুগ আগে তালেবান শাসনের সময়টা ভুলতে পারছে না মানুষ। ইসলামি শাসনের নামে কঠোর আইনে দেশ পরিচালনা করেছিল তালেবানরা ।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে , তালেবানের কাবুল অভিযানের খবরেই বেড়ে গেছে বোরকা বিক্রি। যেহেতু আগের তালেবান শাসনের সময় নারীদের বোরকা পরা ছিল বাধ্যতামূলক।
২০০১ সালে মার্কিন অভিযানে তালেবান সরকারের পতন হয়। এরপর আফগান নারীদের বাধ্যতামূলক বোরকা পরার বিষয়টি উঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল। তবে ধর্মীয় ও ঐতিহ্যগত কারণে অনেকেই বোরকা পড়তেন। আফগানিস্তান তালেবানদের দখলে যাওয়ায় অবধারিতভাবে নারীদের স্বাধীনতা হরণ হবে আফগান নারীরা তা জানেন। আর তাই বলেই কাবুল শহরে হু হু করে বেড়েছে বোরকার ব্যবসা, বেড়েছে দামও ।
দ্য গার্ডিয়ান সূত্রে জানা যায় , এত দিন রাজধানীর আশপাশের নারীরা দলে দলে বোরকা কিনেছেন। এখন কাবুলের নারীরা বোরকা কিনছেন।
ক্রেতারা দ্য গার্ডিয়ানকে জানান , যে বোরকা কিছুদিন আগেও ২০০ আফগানি মুদ্রায় বিক্রি হচ্ছিল, তা এখন ২ থেকে ৩ হাজার আফগান মুদ্রায় বিক্রি হচ্ছে। এক নারী জানিয়েছেন , কাবুলে নারীদের মধ্যে ভয় যেমন বেড়েছে, বোরকার দামও তেমন বেড়েছে।
এক নারী জানান, তাঁর স্বামী তাঁকে বোরকা নিতে বাধ্য করেছেন। বোরকা পড়া শুরু করতে বলেছেন, যাতে আমি বাইরে থাকলে তালেবান আমার প্রতি মনোযোগ না দেয়।’ নীল রঙের বোরকা দিয়ে বিশ্বে আফগান নারীদের চিহ্নিত করা হয়। কিছুটা ভারী কাপড়ে তৈরি এই বোরকা মাথা থেকে পা পর্যন্ত সম্পূর্ণ ঢেকে রাখে। চোখের সামনে থাকে নেটের কাপড়।
এখন আফগানিস্তানে বোরকার বিক্রি এতটাই বেড়ে গেছে যে দোকানে যেভাবে সারি সারি বোরকা ঝুলিয়ে রাখা হচ্ছে, তাতে মনে হচ্ছে, সেখানে ভারী পর্দা লাগানো হয়েছে।
সূত্রঃ দ্য গার্ডিয়ান