শেরপুরে আদালতের নির্দেশে দাফনের দীর্ঘদিন পর কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে আবু সাঈদ নামের এক শিক্ষার্থীর লাশ। বুধবার ( ১ লা সেপ্টেম্বর ) সকালে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মিজানুর রহমানের উপস্থিতিতে তার মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়।
জানা গেছে , ময়না তদন্ত ও ফরেনসিকের জন্য কবর থেকে এ শিক্ষার্থীর লাশ উত্তোলন করা হয়েছে । নিহত আবু সাঈদ শেরপুর সদর উপজেলার গাজীরখামার ইউনিয়নের শালচূড়া গ্রামের নূর হোসেনের ছেলে।
নিহত শিক্ষার্থী সাঈদের পরিবারের দাবি , চলতি বছরের গত ১১ জুন রাতে আবু সাঈদকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায় তার বন্ধু ও হত্যা মামলার আসামী আতিক মিয়া, জাকির, তরিকুল ইসলাম, ডাঃ সোয়েব, শারমীন সুলতানা ডেইজি। পরে তারা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সহযোগিতায় পরিকল্পতিভাবে সাঈদকে হত্যা করে। পরে ওই হত্যাকান্ডকে তারা সু-কৌশলে সড়ক দুর্ঘটনা বলে চালিয়ে দেয়।
এদিকে গত ২৭ জুন বিজ্ঞ সি.আর আমলী আদালতে মামলা দায়ের করা হলে ২২ আগস্ট শেরপুর সদর থানায় মামলাটি এফ.আই.আর ভুক্ত করা হয়। মামলা দায়েরের পর আসামীরা নিহতের পরিবারকে বিভিন্নভাবে হুমকি ও মামলা তুলে নিতে চেষ্টা করে।
এ ঘটনার পর আবু সাঈদের পরিবার মরদেহের ময়না তদন্ত করার দাবী জানালে বিজ্ঞ আদালত তা মঞ্জুর করে ময়না তদন্ত ও ফরেনসিকের জন্য কবর থেকে লাশ উত্তোলন করার নির্দেশ দেন ।