উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও ষড়যন্ত্রমূলকভাবে প্রকাশিত সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন ডবলমুরিং থানা যুবলীগ নেতা সাইফুদ্দিন রোকন ।
সম্প্রতি চট্টগ্রামের কয়েকটি অনলাইন গণমাধ্যমে যুবলীগ নেতা সাইফুদ্দিন রোকনকে নিয়ে ” দিনে যুবলীগ রাতে মাদক কারবারি ” এই শিরোনামে সংবাদ প্রচার করা হয় । যা ভিত্তিহীন , উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও ষড়যন্ত্রমূলক বলে দাবী করছেন এই যুবলীগ নেতা ।
এই সংবাদ প্রচারের পর তাঁর ও আওয়ামী যুবলীগের সম্মান ক্ষুণ্ণ হয়েছে বলে জানান তিনি।
যুবলীগ নেতা রোকন বলেন , আমি দীর্ঘদিন যাবৎ আওয়ামী রাজনীতির সাথে জড়িত । জাতীয় নির্বাচনসহ বিভিন্ন স্থানীয় নির্বাচনে আমি আওয়ামীলীগের সমর্থনে কাজ করে আসছি, আর এতেই আমাকে হটানোর জন্য চিহ্নিত বিএনপি-জামাতের সাথে জড়িত নেতা কর্মীরা উঠে-পরে লেগেছে ।
প্রকাশিত সংবাদে দিনে যুবলীগ রাতে মাদক কারবারি এই বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, আমার মাদক মামলাটি ২০১১ সালের এবং আমার কাছে তখন কোন আলামত পাইনি, আলামত উদ্ধার হওয়ার ৬দিন পর আমাকে গ্রেফতার করেছিল, তাও আলামত গুলো উদ্ধার হয়েছিল বিএনপির নাশকতার মামলার আসামী ও জামায়াতের সাবেক সুরা সদস্য মাঈনউদ্দিন রাশেদ এর পানির কারখানা থেকে,ওই মামলায় সাক্ষী হয়েছে রাশেদ ,তার চাচা এবং তার জেঠাতো ভাই । এতটুকুতেইতো বোঝা যায় যে এরা তখনই আমার বিরুদ্ধে এক গভীর ষড়যন্ত্র করেছে। এরপর আমি জামিনে ছিলাম , তবে সম্প্রতি আমি দলীয় কাজে চট্টগ্রামের বাহিরে অবস্থান করায় আদালতে হাজিরা দিতে না পারায় আমার নামে ওয়ারেন্ট ইস্যু হয়ে আমাকে গ্রেফতার করা হয়, এর পরদিন আমি পূনরায় জামিনে আসি। আর এটিকে কেন্দ্র করে চিহ্নিত বিএনপি-জামাতের কয়েকজন মিলে আমার বিরুদ্ধে সংবাদ প্রচার করায় ।
রোকন আরো বলেন, প্রচারিত সংবাদে যারা বক্তব্য দিয়েছে তাঁরা সবাই মৌল্ভীপাড়া সমাজ উন্নয়ন যুব পরিষদের বিভিন্ন পদে রয়েছে । আর তাঁরা সবাই বিএনপি-জামাতের কর্মী । তাঁর মধ্যে ঐ সংগঠনের সভাপতি মাঈনউদ্দিন রাশেদ বিএনপির নাশকতার মামলার আসামী ও জামায়াতের সাবেক সুরা সদস্য ও বর্তমানে মহানগর সেচ্ছাসেবক দলের ১৩ নং সহ-সভাপতি , যার বিরুদ্ধে ডবলমুরিং থানায় নাশকতা মামলা চলমান রয়েছে । সহ-সভাপতি ফারুক বিএনপির অঘোষিত নেতা, তাঁর বিরুদ্ধেও রয়েছে একটি মামলা । সংঠনের উপদেষ্টা আলাউদ্দিন আলো। যিনি দিক নির্দেশনা দিবেন, তিনি নিজেই একাধিক মামলার আসামী ।এমন অনেক অপকর্মের সাথে জড়িত ব্যাক্তিরাই এই মৌল্ভীপাড়া সমাজ উন্নয়ন যুব পরিষদের বিভিন্ন পদধারী । আর এদের সবাই ডবলমুরিং থানা ছাত্রলীগ নেতা সায়েম এর ছত্রছায়ায় চলে। যাতে প্রশাসন এদের দিকে নজর না দেয় । ছাত্রলীগ নেতা সায়েম ঐ সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে রয়েছে ।
যুবলীগ নেতা রোকন আরো বলেন, আমিও একসময় এই সমাজ উন্নয়ন যুব পরিষদে ছিলাম, কিন্তু তাদের এই অপকর্ম আমি জানার পরে সেচ্ছায় পদত্যাগ করি । এর পরই তাঁরা আমার পেছনে উঠে পড়ে লেগেছে । ঐ সংগঠনের কোন বৈধতা নেই, যার কারনে আমি সরে গেছি । তারা সংগঠনের নাম ভাঙ্গিয়ে এলাকায় বিভিন্ন কায়দায় চাঁদাবাজি করার অভিযোগ রয়েছে । এলাকায় চলাচলের রাস্তা দখল করে ভাসমান বাজার বসিয়ে ভ্যান প্রতি ৩০/৪০ টাকা আদায় করে ।
এছড়াও এলাকায় সিসি ক্যামেরা লাগানোর নাম দিয়ে বেশ কয়েকজন থেকে টাকাও উত্তোলন করেছে , যদিও সিসি ক্যামেরা জনসার্থে লাগানো হয়েছে , কিন্তু কারো চুরি যাওয়া কোন কিছু সিসি ক্যামেরায় দেখতে গেলে তাঁরা ৩০০/৪০০ টাকা দাবী করে , অন্যথায় সিসি ক্যামেরার ফুটেজ তাঁরা দেখায়না ।
আরো অনেক অভিযোগ রয়েছে , এলাকায় ভ্যানে করে ময়লা ফেলার নামে ঘর প্রতি মাসিক ৩০ টাকা হারে আদায় করা হয়, যার সব টাকা জমা হয় যুব পরিষদের ফান্ডে । কিন্তু চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে আবর্জনা সংগ্রহ করার জন্য ফ্রি ভ্যান সার্ভিস রয়েছে ।
এসব বিষয় নিয়ে কথা হয় ঐ সংগঠনের সাবেক উপদেষ্টা সাগীর আহমেদের সাথে , তিনি আমাদের জানান ঐ সংগঠনে আমি একসময় উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি । কিন্তু তাদের এহেন অপকর্ম দেখে আমিও বের হয়ে যায়।
এসব অভিযোগের বিষয়ে আমরা কথা বলি সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর জাহেদা বেগম পপির সাথে । তিনি অভিযোগের বিষয়গুলো অনেকটা জানেন বলে স্বীকার করেছেন , তবে এসব অভিযোগের বিষয়ে তিনি স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগীতা নিয়ে দ্রুত আইনী ব্যবস্থার আশ্বাস দেন ।