পুলিশের গুলিতে নিহত সেনাবাহিনীর (অব.) মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলার রায় ঘনিয়ে আসায় মামলার অন্যতম আসামি বরখাস্তকৃত ওসি প্রদীপ কুমার দাশের মনোবল ভেঙে পড়েছে।
বুধবার ৭ম দফায় শেষ দিন আদালতের কার্যক্রম শেষে বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে এজলাস থেকে অঝোরে কাঁদতে কাঁদতে প্রিজনভ্যানে উঠতে দেখা গেছে প্রদীপকে। চোখ থেকে অতিরিক্ত চোখের পানি ঝরার কারণে তার চোখ দুটি লাল হয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।
এই প্রথম ওসি(সাবেক) প্রদীপকে কান্না চোখে ও মন খারাপ অবস্থায় দেখা গেছে।
আলোচিত এ মামলার প্রথম থেকেই উপস্থিত একজন আইনজীবী বলেন, এই প্রথম ওসি প্রদীপকে অনুতপ্ত ও কাঁদতে দেখা গেছে।
তিনি জানান, মামলার ৬৪ জন সাক্ষী ও সর্বশেষ এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তার সাক্ষ্যগ্রহণ গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করেছেন প্রদীপ। আইনের মানুষ হিসেবে হয়তো মামলার রায়ে কী হতে পারে- এটিও তার জানা হয়ে গেছে। এ কারণে মামলার রায়ের দিন ঘনিয়ে আসায় প্রদীপের মনোবল ভেঙে পড়েছে।
পুলিশের গুলিতে নিহত সেনাবাহিনীর (অব.) মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এএসপি খাইরুল ইসলামকে টানা ৭ ঘণ্টা জেরা করেছেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা।
এদিকে বুধবার ৭ম দফায় শেষ দিন সকাল ১০ থেকে বিকাল ৫টায় আদালত মুলতবির আগপর্যন্ত তাকে জেরা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ও কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ফরিদুল আলম।
এ মামলার সপ্তম দফা সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আগামী ২৯-৩০ নভেম্বর ও ১ ডিসেম্বর পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য করেছেন কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ মো. ইসমাইলের আদালত।
আলোচিত এ মামলায় গত বছর ১৩ ডিসেম্বর তদন্ত কর্মকর্তা ও র্যাব-১৫ কক্সবাজার ব্যাটালিয়নের তৎকালীন দায়িত্বরত সহকারী পুলিশ সুপার খাইরুল ইসলাম ওসি প্রদীপসহ ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। গত ২৭ জুন আদালত ১৫ জন আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। মামলায় ৮৩ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে। তাদের মধ্যে এ পর্যন্ত ৬৫ জন সাক্ষ্যপ্রদান করেছেন।