ডেস্ক রিপোর্ট :
অনলাইনে জুয়া খেলে হাজার হাজার কোটি টাকা হুন্ডির মাধ্যমে বিদেশে পাচারের অভিযোগে মূল মাষ্টার এজেন্ট আরমানকে নোয়াখালীর সেনবাগ থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের সাইবার ইউনিট (সিটিটিজি)।
গেল মঙ্গলবার রাতে সেনবাগ উপজেলার ৬নং কাবিরপুর ইউপির ইয়ারপুর ২নং ওয়ার্ডের কদম মিয়ারপাড় এলাকায় থেকে পুলিশের সাইবার ইউনিট (সিটিটিজি)’র একটি টিম তাকে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তারকৃত আরমান সেনবাগ উপজেলার ইয়ারপুর ২নং ওয়ার্ডের কদম মিয়ারপাড় এলাকার নুরুল হকের ছেলে।
অনলাইনে জুয়া খেলে হাজার হাজার কোটি টাকা হুন্ডির মাধ্যমে বিদেশে পাচারের অভিযোগে আরমানের গ্রেপ্তারের খবরে পুরো এলাকায় আলোচনা সমালোচনা সৃষ্ঠি হয়েছে।
এদিকে গ্রেফতারের বিষয়টি গণমাধ্যমে নিশ্চিত করে সেনবাগ থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) মোঃ ইকবাল হোসেন পাটোয়ারী পুলিশের সাইবার ইউনিট (সিটিটিজি) বরাত দিয়ে জানান, আরমান বাংলাদেশে অবৈধ অনলাইন জুয়ার প্লাটফর্ম ব্যবহারের মাধ্যমে সমাজের উঠতি বয়সীদের আসক্ত করে বিদেশে হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার করছে। এমন অভিযোগে সিটিটিজি কাকে গ্রেপ্তার করে সরাসরি ঢাকায় নিয়ে যায়।
পরবর্তীতে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ অনলাইন জুয়াড়ি চক্রের আরো ১৩ যুবককে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে গ্রেপ্তার করে। পরে তার ব্যবহৃত মোবাইলের মেসেঞ্জার, হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটিং ও মোবাইল ব্যাংকিং ওয়ালেট যাচাই করে তার কাছে রুট লেভেলের প্রায় ৭০ জন ব্যবহারকারীর তথ্য পাওয়া যায়।
তাদের ব্যবহৃত মোবাইল চেক করে মেসেঞ্জার, হোয়টাসএ্যাপ চ্যাটিং ও এমএফএস (বিকাশ/নগদ/রকেট) দেখা যায় ঊর্ধ্বতন সাইট সাব এ্যাডমিন হককে (ওয়েবসাইট নেম) ডাচ বাংলা ব্যাংকের এজেন্ট ব্যাংকের ১৪৮টি একাউন্টে গত নভেম্বর মাসে ২০০০ কোটি টাকার অধিক লেনদেন হয়েছে। এক মাসেই প্রায় ১৫০০ টি মাস্টার এজেন্টের মাধ্যমে ৩০ হাজার কোটি টাকার অধিক লেনদেন হয়েছে। যা বাংলাদেশ থেকে হুন্ডির মাধ্যমে বিদেশে পাচার করা হয়েছে। এ ঘটনার সঙ্গে একটি ব্যাংক জড়িত থাকার তথ্য মিলেছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃতরা বিষয়টি স্বীকার করেছে। এ ঘটনায় জিএমপি’র সদর থানা য় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলাও করা হয়েছে। এছাড়াও সিআইডি কর্তৃক মানিলন্ডারিং আইনে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানা যায়।