নিজস্ব প্রতিবেদক :
চট্টগ্রাম নগরী থেকে বোয়ালখালী ও পটিয়াগামী গাড়ি চলাচলের একমাত্র ব্যবস্থা কালুরঘাট অঞ্চল। এই অঞ্চল দিয়ে প্রতিদিন হাজারো মানুষ ও শত শত যানবাহন চলাচল করে। তবে কালুরঘাট অঞ্চলের খেজুরতলা এলাকায় ধুলোবালি আর কর্দমাক্ত সড়ক দিয়ে চলাচল দূর্ভিসহ হয়ে পড়েছে পথচারীদের। আর এতে করে পথচারীরা দায় করছেন সড়কের পাশে গড়ে ওঠা বিশাল বালির স্তুপকে।
এই পথে যাতায়াতকারী একাধিক পথচারী ও চালকদের অভিযোগ সড়কের পাশে গড়ে ওঠা বালির বিশাল স্তুপের ফলে বাতাসের সাথে গাড়ি চলাচলের সময় রাস্তার ধুলোবালি নাকে মুখে প্রবেশ করে অসুস্থজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে তারা। এই বালির স্তুপ সরিয়ে নিলে এসব থেকে মুক্তি পাবে সাধারণ মানুষ।
এদিকে খেজুর তলা এলাকায় রেলওয়ে থেকে লিজ নেয়া জমির মালিক জালাল খান নামের এক ব্যক্তি দাবি করেন, তিনি রেলওয়ে কৃষি জমি লিজ নিয়ে কৃষি কাজে ব্যবহারের জন্য একটি পক্ষকে ভাড়া দিয়েছেন। তবে তারা নিয়ম ভংগ করে কৃষি জমিতে বালির ব্যবসা শুরু করেছে। তাদের আইনী ভাবে বিষয়টি নিষেধ করা হলেও তারা তা মানছেনা। তিনি আরো দাবি করেন এই বালির ব্যবসাকে কেন্দ্র করে প্রায় ঘটে সংঘাত।
এবিষয়ে বালির ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলতে সরেজমিনে কাউকে পাওয়া যায়নি। তবে বালির শ্রমিকদের সাথে কথা বলতে চাইলে তারাও এবিষয়ে প্রতিবেদকের সঙ্গে কথা বলতে নারাজ।
এদিকে ঐ এলাকার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সেচ্ছাসেবকলীগ নেতা প্রতিবেদককে জানান, এই এলাকায় বালির ব্যবসার আড়ালে চলে মাদক সহ জুয়ার আসর, আর এতে বাধা দিলেই হুমকির মুখে পড়তে হয়। এছাড়াও বালির স্তুপের আশপাশে ওৎপেতে থাকে কিশোর গ্যাং। সুযোগ পেলেই তারা পথচারীদের মোবাইল ও টাকা পয়সা ছিনিয়ে নেই। তিনি বলেন, প্রশাসন তৎপর থাকার পরো প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয় এসব কাজে লিপ্ত থাকে তারা। এবিষয়ে প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেন স্থানীয় এই নেতা।
এই এলাকার কিশোর গ্যাং ও অপরাধমুল কর্মকাণ্ডের বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে প্রশাসন জানান, কিশোর গ্যাং ও অপরাধ কার্যক্রম বন্ধে প্রশাসন তৎপর রয়েছে। এছাড়াও অপরাধ এলাকায় প্রশাসনের নজরদারি সবসময় আছে।