পুলক কান্তি বড়ুয়া :-
মশা কোন যন্ত্রনার নাম নয়,লাভ ফর এভার!!!,তাহলে সমস্যা কোথায়? সমস্যা হলো মশার সংখ্যা’ দেশের মোট জনসংখ্যার চেয়ে বেশী।যেমন,দেশে খাদ্য উৎপাদনে উদ্বৃত্ত হওয়ায় ধানের দাম কমে গেছে, কৃষকের মাথায় হাত! একই ভাবে মশার সংখ্যা দেশের মোট জনসংখ্যার চেয়ে উদ্বৃত্ত হওয়ায়, দেশের প্রত্যেক মানুষ মশার কামড় ও ডেংগু ঝুকিতে রয়েছে। সব ফলজ ও প্রানীজ খাদ্য উৎপাদন এর ক্ষেত্রে আমরা বর্তমানে স্বয়ংসম্পুর্ন বেশি,কিন্তু এই খাদ্য সম্পদ গুলো আমরা কার্যকরভাবে ব্যবহার করতে পারছি না। কারন উদ্বৃত্ত সম্পদ ব্যবহার করার জন্যে, দেশে কার্যকর নেতার সংখ্যা নাই বল্লেই চলে!তবে তেনার সংখ্যাটা নেতার চেয়ে উদ্বৃত্ত…!!!
এই সম্পদ চীন পেলে তৃতীয় স্যুপ বিপ্লব ঘটতো।ইউয়ান প্রদেশের হোয়ে অঞ্চলে চীনা মশার স্যুপ অত্যন্ত উপাদেয়,পুস্টিকর ও দামী খাদ্য হিসেবে পরিচিত। সম্প্রতি ডেংগু প্রতিরোধে এই বিশাল জনগোষ্ঠীর জন্যে সিটি কর্পোরেশন পক্ষ থেকে ডাক্তার নিয়োগ একটি হাস্যকর পদক্ষেপ, তার চেয়ে কর্মহীন পুস্টি বিজ্ঞান ইন্সটিটিউট মশার মাংস ও স্যুপ এর উপকারিতা বিষয়ক বৈজ্ঞানিক ঘোষনা দিলে, জনগন অভিযোগও করতো না বরং নিজেদের ঘরেই মাশ্রুম এর মতো মশা চাষ করতো।যেহেতু মশার মাংস খাওয়ার উপর কোন ধর্মীয় নিষেধাজ্ঞা কোন ধর্মশাস্ত্রে নাই তাই এটি হতে পারে একটি অন্যতম সুপেয় স্যুপ খাদ্য।
পাশাপাশি চীনে মশা রপ্তানী করে, দেশ বৈদেশিক মুদ্রাও আয় করতে পারে । মশা তখন আর যন্ত্রনার নাম নয়, স্যুপ।!!ও ডলার!!!তাই নয় কি? লাভ ফর এভার!! আহা মশা!! আহা সুখের ঠিকানা!!