নিজস্ব প্রতিবেদক :-
চট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে মাদক কারবারিকে আটকের পর ছেড়ে দেয়ার সংবাদ প্রকাশের জের ধরে বোয়ালখালী থানার ওসির কর্তৃক বিএমএসএফ বোয়ালখালী শাখার সাধারণ সম্পাদক ও জাতীয় দৈনিক কালের কন্ঠ পত্রিকার প্রতিনিধি কাজী আয়েশা ফারজানাকে নাজেহাল করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
“মাদক কারবারীকে আটক করে ছেড়ে দিল পুলিশ” এই শিরোনামে গত ৭ই আগস্ট বুধবার জাতীয় দৈনিক কালের কণ্ঠ পত্রিকায় সংবাদটি প্রকাশের পর থেকেই ওই ওসি নেয়ামত উল্লাহ সাংবাদিকের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে আছেন বলে তার অশালীন বক্তব্যে প্রকাশ পায়।
জানাগেছে, ৮ই আগস্ট বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তার কার্যালয়ে স্থানীয় সাংসদ মঈন উদ্দিন খান বাদলের উপস্থিতিতে এক সভায় ঘটনাটি ঘটে।। সাংবাদিক বিদ্বেষী ওসি নেয়ামত উল্লাহ প্রকাশ্যে মাদক কারবারিকে আটক করে ছেড়ে দেয়ার সংবাদ প্রকাশ করায় এমপির সামনেই ওই নারী সাংবাদিককে লাঞ্ছিত ও নাজেহাল করেন বলে জানা ওই নারী সাংবাদিক।
নারী সাংবাদিক ওসির উদ্দেশ্যে বলেন, সংবাদটি মিথ্যা হলে আপনি নিয়মানুযায়ী পত্রিকা অফিসে প্রতিবাদ পাঠাতে পারেন বা আইনগত ব্যবস্থা নিতে পারেন। তখন ওসি নেয়ামত আরো ক্ষিপ্ত হয়ে জনসম্মুখে পুলিশ কারো বাপের চাকর নয় বলে চিৎকার করে প্রকাশ্যে সাংবাদিককে হুমকী দিয়ে সাংসদের সামনে অস্ফালন করেন। এ সময় স্থানীয় সাংসদ অসহায়ের মতো তাকিয়ে থাকেন। পরে স্থানীয় সাংবাদিকরা সভাস্থল ত্যাগ করে বের হয়ে আসেন।
এ ঘটনায় এক বিবৃতিতে বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম( বিএমএসএফ) , চট্টগ্রাম দক্ষিন জেলা কমিটির সভাপতি আব্দুল হাকিম রানা ও সাধারণ সম্পাদক কাইছার ইকবাল চৌধুরী তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করে বিতর্কিত ওসি নেয়ামত উল্লাহকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানিয়েছেন। অন্যথায় বিচারের দাবিতে কঠোর কর্মসূচী গ্রহণ করারও হুশিয়ারী দেন সংগঠনের নেতারা।
ওই ওসির বিরুদ্ধে চট্টগ্রামের পটিয়া থানায় থাকাকালেও ব্যাপক অনিয়ম, দূর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার এবং সাংবাদিকদেরকে মিথ্যা অভিযোগে মামলা দায়েরসহ নানা হয়রানীর ঘটনা ঘটিয়েছে বলেও অভিযোগ রয়েছে।
উল্লেখ্য গত সোমবার রাতে পুলিশ বোয়ালখালী উপজেলার কড়লডেঙ্গায় অভিযান চালিয়ে জনৈক সাইদুল ইসলাম রাসেলের শ্রমিক থাকার ঘরের পাশ থেকে দুই বস্তা চোলাই মদ উদ্ধার করে। এ সময় রাসেলকে আটক করে থানায় আনার পর ওসি তাকে ছেড়ে দেন।
মাদক কারবারিকে আটকের পর ছেড়ে দেয়ায় সংবাদটি ৭ আগস্ট কালেরকন্ঠে প্রকাশিত হওয়ায় বিতর্কিত ওসি নেয়ামত উল্লাহ ক্ষুদ্ধ হন।