রিমন রশ্মি বড়ুয়া :-
আষাঢ় মাসের পূর্ণিমার পর যে পঞ্চমী তিথি (শ্রাবণ) কে নাগ পঞ্চমী বলে। নাগ পঞ্চমীতে উঠানে সিজ গাছ স্থাপন, সর্পচিত্রিত ঘট বা মনসার মূর্তি দিয়ে মনসা পূজা করা হয়। হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের মনসা পূজার মূল প্রতিপাদ্য হল মা মনসার উদ্দেশ্যে পাঁঠা ( মর্দ ছাগল) বলির মাধ্যমে মানুষের মনের পশুকে দমন করা। হিন্দু ধর্মমতে মনসা হচ্ছে সাপের দেবী, এ দেবীর পূজা করলে ঘর বাড়ি বিষাক্ত সাপ হতে রক্ষা পায় এটা বিশ্বাস করেন হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা। দেবীর সারা গায়ে অলংকার হিসেবে বিভিন্ন সাপ জড়ানো থাকে। মানুষের মনের পশু দমনে এ দেবীর উদ্দেশ্যে পাঁঠা, কচ্ছপ, ভেড়া ফল ফলাদি বলি করা হয়। অনেক হিন্দু ধর্মাবলম্বী মনসা পূজায় পাঁঠা বলি করেন না। তারা দুধ কলা ও ফলমূল দিয়ে দেবীর পূজা করেন, এই পূজাকে সাদা পূজা বলা হয়। যারা পাঁঠা বলি দেন তাদের পূজা লাল পূজা। যে পাঁঠা গুলো বলি করা হয় বলির পর সেগুলোর সর দেহ থেকে রক্ত সংগ্রহ করে একটি পাত্রে রাখা হয় এবং দেবী মনসার পায়ের নিচে রাখা হয়। এতে করে বলি করা পশুটি দেবীর নামে উৎসর্গ করা হয়।
সেই পাঠা বলি যাদের হাতে দেয়া হয় সেরকম এক মা ভক্ত হলেন বাবুল কান্তি মিত্র। তিনি চট্টেশ্বরী কালি মন্দিরের একমাত্র বলীকার। দীর্ঘ কয়েকযুগ ধরেই তিনি পাঠা বলি দিয়ে আসছেন। হার্টের সমস্যা থাকা সত্তেও চিকিৎসকের নির্দেশ অমান্য করে এইবারও বাবুল কান্তি মিত্র নিজের শরীরের কথা না ভেবে দেবীর চরণতলে পাঠা বলি দিয়েছেন। দীর্ঘদিন এই ধর্মীয় কাজে যুক্ত থাকায় সমাজে বাবুল কান্তি মিত্রের প্রতি মানুষের ভালবাসাও জন্মেছে প্রচুর। চট্টগ্রামের সনাতনী সমাজের অনেকেই তাকে এক নামে চেনেন। বাবুল কান্তি মিত্রের আরো একটি গুণ রয়েছে। তা হচ্ছে তিনি জ্যোতিষশাস্ত্রে পারদর্শী। সমাজের মুসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধ, খৃষ্টান অনেকেই তার জ্যোতিষশাস্ত্রের গুণ দেখে মুগ্ধ। অনেক ভবিষ্যতবাণী সত্য হওয়ায় ভিন্ন ধর্মের মানুষও অসহায় অবস্থায় এই বাবুল কান্তি মিত্রের স্মরণাপন্ন হন। ৬২, এস এস খালেদ রোড, কাজীর দেউড়ি নিবাসী রমনী মোহন মিত্রের সুযোগ্য সন্তান এই বাবুল কান্তি মিত্র। বর্তমানে বাবুল কান্তি মিত্র হার্টের অসুস্থতায় চিকিৎসাসেবা নিতে ভারতের উদ্দেশ্যে পাড়ি জমিয়েছেন। বাবুল কান্তি মিত্রের আশু রোগমুক্তি কামনায় সকলের আশীর্বাদ চেয়েছেন তারই সুযোগ্য সন্তান সমাজসেবক রুবেল মিত্র।