নিজস্ব প্রতিবেদক :-
বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ ও চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান বলেছেন, বাঙালি জাতিসত্তাকে আঘাত করার জন্যই ৭৫’এর ১৫ আগস্টের পুনরাবৃত্তি ঘটিয়ে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট শেখ হাসিনাকে হত্যার অপচেষ্টা চালানো হয়েছিল। এতে নারী নেত্রী আইভি রহমানসহ ২৪টি প্রাণ ঝরে গেলেও শেখ হাসিনা অলৌকিকভাবে রক্ষা পেয়েছিলেন। এই ঘটনার পুনরাবৃত্তির আশঙ্কা এখনো বিদ্যমান। তাই একাত্তরের পরাজিত শক্তিকে সমূলে নির্মূল না করা
পর্যন্ত বাঙালির জাতিসত্তা কখনো নিরাপদ নয়। তিনি মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শেখ হাসিনার উপর গ্রেনেড হামলার ১৪ তম বার্ষিকী উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট
চট্টগ্রাম জেলা আয়োজিত ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট ঢাকা বঙ্গবন্ধু এভিনিউ চত্বরে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাস বিরোধী সমাবেশে পরিকল্পিতভাবে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে প্রাণনাশের প্রচেষ্টা ও
গ্রেনেড হামলায় সকল নিহতদের স্বরনে প্রদীপ প্রজ্জ্বলন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসবকথা বলেন। তিনি দৃঢ়তার সাথে বলেন, কোনো ষড়যন্ত্র কখনো সফল হয় না বরং ষড়যন্ত্রকারীরা
ইতিহাসের আস্থাকুঁড়ে নিক্ষিপ্ত হয়। এই সত্যটিকে অনুধাবন করেই ২১ আগস্টের গ্রেনেড
হামলাকারীদের উচিত শাস্তি কার্যকর করার জন্য গণসংগ্রাম অব্যাহত রাখতে হবে। প্রধান
আলোচকের বক্তব্যে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্যানেল মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের
সাংগঠনিক সম্পাদক চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী বলেন, এদেশে একাত্তরের ঘাতকদের ফাঁসি
হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদেরও ফাঁসি হয়েছে। শেখ হাসিনার হত্যা প্রচেষ্টাকারীদের একই
পরিণতি ভোগ করতে হবে। তা না হলে বাঙালি জাতিসত্তার অস্থিত্ব প্রশ্নবিদ্ধ হবে। বঙ্গবন্ধু
সাংস্কৃতিক জোট চট্টগ্রাম জেলার সাধারণ সম্পাদক খোরশেদ আলমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত ২০০৪
সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় সকল নিহতদের স্মরণে প্রদীপ প্রজ্জ্বলন অনুষ্ঠানে একাত্বতা প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর ও নগর যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য হাসান মুরাদ বিপ্লব, চসিক কাউন্সিলর ও নারী নেত্রী আবিদা আজাদ, লেখক ও সাংবাদিক নিজামুল ইসলাম সরফী, নগর যুবলীগের সদস্য সুমন দেবনাথ, জাবেদুল আলম সুমন, আয়োজক পরিষদের সমন্বয়কারী এম.এ মান্নান শিমুল, নগর শ্রমিক লীগ নেতা কামাল উদ্দিন
চৌধুরী, মিরন হোসেন মিলন, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সম্পাদক আবদুল্লাহ আল মামুন,
ইয়াছির আরাফাত, চট্টগ্রাম আইন কলেজের সাবেক ভি.পি এড. নজরুল ইসলাম, নগর ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ওয়াহেদ রাসেল, সংস্কৃতিকর্মী কবি সজল দাশ, শিল্পী অচিন্ত্য কুমার দাশ।
এতে আরো উপস্থিত ছিলেন জামালখান ওয়ার্ড মহিলা আওয়ামী লীগ নেত্রী রুমকি সেন গুপ্তা, নগর
যুবলীগ নেতা জাহাঙ্গীর আলম, মাসুম চৌধুরী, সাবেক ছাত্রনেতা এড. ওসমান উদ্দিন, তানজিরুল
হক, লিয়াকত আলী, শফিউল আলম জনি, আজম লিংকন, নগর ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক আরভীন সাকিব ইবান, সদস্য আবু সায়েম, ওমর ফারুক সুমন, বোরহান উদ্দিন গিফারী, তারন দাশ প্রলয়, পৌলন দেব ভুবন, মিশকাতুল কবির, অরূপ বড়–য়া, রানা হাজারী, জয়নাল আবেদীন, খোরশেদ আহমেদ নয়ন, অনিক
দে অন্তু, কুমার রাজশ্রী বাবু, আনিসুর রহমান আলভী, রবি কর জয়, ফাহিম আল শাহরিয়ার, মো:
মাইনুদ্দিন, অভিজিৎ পান্ডে, রবিন দে, রুবেল দে, শান্ত কর্মকার, শাওন শান্ত, প্রশান্ত নাথ, রবিন হালদার, প্রান্ত ধর, অনিক মল্লিক, প্রমুখ।
সভার শুরুতেই ২০০৪ সালে ঢাকায় বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আওয়ামীলীগ আয়োজিত শান্তিপূর্ণ সন্ত্রাস বিরোধী সমাবেশে তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী শেখ হাসিনাকে প্রাণ নাশের উদ্দেশ্যে পরিকল্পিত গ্রেনেড হামলায় নিহত মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী আইভী রহমানসহ সকলের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে এক মিনিট দাঁড়িয়ে নীরবতা পালন করা হয় এবং আহতদের জন্য সুস্থতা কামনা করা হয়।