নিজস্ব প্রতিবেদক :-
১৫ আগস্ট ঘাতকরা শুধুমাত্র জাতির জনককে হত্যা করেনি, একই সাথে হত্যা করতে চেয়েছিল বাঙালির সংস্কৃতি ও বাংলাদেশকে। তারা বাংলাদেশকে এবং বাঙালির কণ্ঠরোধ করতে চেয়েছিল। তাদের প্রকৃত লক্ষ্য ছিল বাঙালি জাতি এবং বাংলাদেশকে অভিভাবকহীন করা।জাতির জনকের হত্যাকান্ডের পর বাংলার মানুষকে ঘুরে দাঁঁড়াতে বহুত্যাগ স্বীকার করতে হয়েছে। শনিবার বিকেলে নগরীর আউটার স্টেডিয়াম সবুজ মেলার মঞ্চে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন আয়োজিত মাসব্যাপি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ৪৪ তম শাহাদাত
বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবসের সমাপনী দিবসে প্রধান অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আলহাজ্ব আ জ ম নাছির উদ্দীন এসব কথা বলেন।
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সামসুদ্দোহা’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন শিক্ষা স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান কাউন্সিলর নাজমুল হক ডিউক, কাউন্সিলর হাসান মুরাদ বিপ্লব, কফিল উদ্দিন খান, সংরক্ষিত ওয়ার্ড
কাউন্সিলর আবিদা আজাদ, চসিক প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা সুমন বড়ুয়া, প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ এ কে এম রেজাউল করিম।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম সিটি
কর্পোরেশনের সচিব মো. আবু সাহেদ চৌধুরী। সিটি মেয়র আরো বলেন, ৭৫ এর ১৫ আগস্টের পর বাংলাদেশকে অনেক কলঙ্কজনক অধ্যায়ের সাক্ষী হতে হয়। ক্ষমতার পালাবদলে এদেশে পাকিস্তানী পেতাত্মারাও সরকার গঠনে সুযোগ পায়। রাজাকার আলসামস ও আলবদরদের গাড়ীতে ওড়ে স্বাধীনতার লাল সবুজ পতাকা। এই সময় বঙ্গবন্ধুর নাম মুছে দিতে চলে ইতিহাস বিকৃতির উৎসব। কিন্তু ষড়যন্ত্রকারী জানে না, ব্যক্তির মৃত্যু হতে পারে, কিন্তু
আদর্শে কোনো মৃত্যু নেই। আদর্শ্যই ব্যক্তিকে জীবিত রাখে যুগ যুগ ধরে। হত্যা,প্রসঙ্গে মেয়র বলেন বঙ্গবন্ধুর তনয়া শেখ হাসিনাকে দমিয়ে রাখার জন্য শাসক গোষ্ঠি কম চেষ্টা করেনি। ২০০৪ সালে ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু কন্যাকে হত্যার চেষ্টা করে। তারা চেয়েছিল এই বাংলাদেশ যেন আলো না দেখে বাংলার পূর্ব আকাশে আর যেন সূর্য না উঠে।
সৌভাগ্যক্রমে দেশের বাহীরে থাকায় বেঁচে যারা বাঙালি জাতির আরেক আলোকবর্তিকা বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি এদেশ তথা বাঙালিকে নিয়ে গেছেন মহাকাশে ও বিশ্বের বুকে এক নক্ষত্র হিসেবে। সিটি বলেন, জাতির জনকের হত্যাকান্ডের পর বাংলার মানুষকে ঘুরে দাঁড়াতে বহুত্যাগ স্বীকার করতে হয়েছে। আওয়ামী লীগের অনেক নেতা কর্মী নিপীড়িত হয়েছেন, জেল জুলুম সয়েছেন, মৃত্যুকে বরণ করে নিয়েছেন। কিন্তু বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ পথ হারা হয়নি। তিনি আরো বলেন, ১৯৯৬ সালে নির্বাচনে বিজয়ের পর বাংলাদেশ আবার ঘুরে দাঁড়াল। স্বাধীনতার চেতনা সমুন্নত হলো, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ অনুসারে রাস্তা পরিচালনা শুরু হলো। বর্তমানে টানা মেয়াদে জননেত্রী শেখ হাসিনা সরকার পরিচালনা করছেন। তাকে নিচিহ্ন করে দেয়ার জন্য দেশী-বিদেশী শত্রুরা
বহুবার চেষ্ঠা করেছে। এই পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু কন্যাকে হত্যার জন্য ১৯ বার চেষ্টা করা হয়েছে। তাতে তিনি মোটেও ভীত নন। জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধারণ ও লালন পালন করে বিভিন্ন বাধা-বিঘ্ন উপেক্ষা করে দক্ষ হাতে দেশ পরিচালনা করে যাচ্ছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী। ফলে বিশ্বের কাছে বাংলাদেশ এখন রোল মডেল হয়ে দাঁড়িয়েছেন ।
অনুষ্ঠানে মেয়র স্বাধীনতা যুদ্ধ ও ৭৫ এর পরবর্তী কালীন সময়ে রাজনীতির বিশদ বিবরণ তুলে ধরেন।
অনুষ্ঠানে মেয়র আবৃত্তি, কবিতা, ৭ মার্চ ভাষন, বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ রচনা প্রতিযোগী বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন।