চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি:-
চাঁপাইনবাবগঞ্জে তরুণীকে ধর্ষণের পর হত্যা মামলায় ৫ জনকে মৃত্যুদন্ড দিয়েছেন জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. শওকত আলী। একই সঙ্গে তাদের প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে অর্থদন্ড দেয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে আসামী নয়ন কর্মকার রবিদাস ও বীরেন দাসের ছেলে প্রশান্ত রবিদাসের উপস্থিতিতে এ রায় দেন তিনি। মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত আসামীরা হচ্ছে, সদর উপজেলার চরবাগডাঙ্গা (মালবাগডাঙ্গা) গ্রামের শ্যামাপদ রবিদাসের ছেলে নয়ন কর্মকার রবিদাস(৩২), চরবাগডাঙ্গা চাকপাড়া গ্রামের রতন রবিদাসের ছেলে নিতাই চন্দ্র রবিদাস(৩০), একই গ্রামের মৃত. সুচন দাসের ছেলে সুভাষ দাস(৪৬), খোকন রবিদাসের ছেলে প্রশান্ত রবিদাস(২৮) ও চরবাগডাঙ্গা সোনাপট্টি গ্রামের বীরেন দাসের ছেলে প্রশান্ত রবিদাস(২৬)। মামলায় ৩জনের বিরুদ্ধে অপরাধ প্রমানিত না হওয়ায় তাদের বেকসুর খালাস দেয়া হয়। মামলার নথি সূত্রে ও রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (অতি.পিপি) আঞ্জুমান আরা বেগম জানান, দন্ডিত নয়ন রবিদাস মুসলমান যুবকের মিথ্যে পরিচয়ে মোবাইল ফোনে আয়েশার সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। ২০১৫ সালের ১১’জুন আয়েশা দর্জির কাজ শিখতে বাড়ি থেকে মামা বাড়ি যায়। দুদিন পর ১৩’জুন বিকেল পর্য়ন্ত তাকে মামার বাড়িতে দেখা গেছে। এরপর সেখান হতে সে নিখোঁজ হয় ।তাকে বিয়ের প্রলোভনে মোবাইল ফোনে ডেকে নিয়ে ওই দিন রাতেই ধর্ষনের পর শ্বাসরোধে হত্যা করে দন্ডিত পাঁচজন। পরদিন ১৪’জুন সকালে সদর উপজেলার মহারাজপুর মেলা মোড় এলাকার এটি ডোবা থেকে আয়েশার মরদেহ উদ্ধার হয়। ওই বছরের ৯’আগষ্ট ময়নাতদন্ত প্রতিবদেন পাবার পর সদর থানার এস.আই শামীম আখতার বাদী হয়ে ওইদিনই থানায় অজ্ঞাতনামাদের আসামী করে মামলা করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও তৎকালীন সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সরোয়ার রহমান ওই বছরের ১৪’ডিসেম্বর ৮জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্যশীট দাখিল করেন। ১৪ জনের সাক্ষ্য, প্রমাণ ও শুনানী শেষে আদালত বৃহস্পতিবার পাঁচজনকে দোষী সাব্যস্ত করে দন্ড দেন।