আবু হেলাল, (শেরপুর ) :-
শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতী উপজেলার গুরুচরণ দুধনই আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অ্যাসাইনমেন্ট ফি’র নামে বাধ্যতামূলক টাকা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। তবে অত্র শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ বিষয়টিকে টিউশন ফি আদায়ের কৌশল বলে জানিয়েছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে জানা যায় , ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ষষ্ঠ শ্রেনী থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত প্রায় ৪ শতাধিক শিক্ষার্থী আছে। করোনা পরিস্থিতিতে চলতি শিক্ষাবর্ষের পুনর্বিন্যাসকৃত পাঠ্যসূচির ভিত্তিতে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়নের জন্য ৭ নভেম্বর থেকে অ্যাসাইনমেন্ট পরীক্ষা শুরু হয়। এর ফলে প্রতি সপ্তাহের শনিবার তিনটি বিষয়ের ওপর শিক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট দেওয়া হচ্ছে। এতে শিক্ষার্থীদের এক পাতার অ্যাসাইনমেন্ট সংক্রান্ত কাগজ, দুই পাতার সাদা কাগজ ও স্কুলের নামসহ শিক্ষার্থীদের পরিচিতি লিখতে এক পাতার ছাপা কাগজ সরবরাহ করা হচ্ছে, যা নিতে হলে বাধ্যতামূলক ভাবে ষষ্ঠ শ্রেনী থেকে নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের ৩ শত ৫০টাকা করে দিতে হচ্ছে।
সরেজমিনে গিয়ে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার সত্যতা পাওয়া গেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নবম শ্রেণির দুই শিক্ষার্থী জানায়, গত শনিবার থেকে তাদের অ্যাসাইনমেন্ট দেওয়া হয়েছে । এ জন্য একটি কাগজে তিনটি বিষয়ের অ্যাসাইনমেন্ট দেওয়া হচ্ছে। প্রতিটি বিষয়ের জন্য দুই পাতার সাদা কাগজ দেওয়া হয়েছে। যাতে অ্যাসাইনমেন্ট লিখে মূল্যায়নের জন্য জমা দিতে হবে। তাদের কাছ থেকে প্রতিটি বিষয়ের জন্য ৬০ টাকা করে নিচ্ছেন বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এর ফলে দুই শনিবার মিলিয়ে ছয়টি বিষয়ের জন্য ৩ শত ৬০ টাকা করে দিতে হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির প্রধান শিক্ষক আব্দুল মালেক বলেন, ‘এটা অ্যাসাইনমেন্টের ফিস নয়, টিউশন ফি নেওয়া হচ্ছে। তবে চলমান পরিস্থিতি বিবেচনায় নির্ধারিত টিউশন ফি ৭০ ভাগ শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে আদায় করা হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে শিক্ষা অফিসের সঙ্গে কথা হয়েছে। আমরা অ্যাসাইনমেন্ট শেষ হলে টাকা আদায় করতে পারব না। এ জন্য কৌশল অবলম্বন করা হয়েছে।
শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা জানান, করোনা পরিস্থিতিতে স্কুল বন্ধ কিভাবে প্রধান শিক্ষক টিউশন ফি কথা বলে টাকা নিচ্ছে বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসার সহ উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি কামনা করেছেন অভিভাবকসহ এলাকাবাসী।