আব্দুল গফুরঃ-
কুমিল্লায় ওয়াজ মাহফিলে হামলা ও মাহফিলের প্রধান আলোচক জনপ্রিয় তরুন আলেম মাওলানা এম.হাসিবুর রহমানের গাড়ি ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে।
রবিবার (৭ ফেব্রুয়ারী) রাতে কুমিল্লা জেলার লাকসাম উপজেলায় গোবিন্দপুর ইউনিয়নের নারায়াণপুর গ্রামে এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনাটি ঘটে।
মাহফিলে উপস্থিত আব্দুশ শুক্কুর নামের একজন প্রত্যক্ষদর্শী শুভ সকাল নিউজকে জানায়,মাহফিলে আলোচনা চলাকালীন একজন ব্যক্তি উত্তেজিত হয়ে তার সাথে আরো কিছু লোকজন নিয়ে মঞ্চে উঠে, তখন মাওলান হাসিবুর রহমান ওয়াজ করছিলেন, এই অবস্থায় ঐ ব্যক্তি সহ তার লোকজন মাহফীলের মাইক্রোফোন ভাংচুর ও মাওলানাকে সহ মাহফিল কমিটিকে অকাট্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে এবং মাহফিল আয়োজকদের হুমকি দিয়ে বলতে থাকে যে,আমি গুণ্ডা
মাস্তান থেকে চেয়ারম্যান হয়েছি। যারা মাহফিল আয়োজন করেছ আমি তাদেরকে খুন করবো,কারো লাশ খুঁজে পাওয়া যাবে না, তাদের ঘরবাড়ি মরুভূমি বানিয়ে দিবো, মায়ের পেট থেকে বের করে জবাই করবো। এসময় এলাকায় মাহফিলে আগত বিভিন্ন গাড়ি পুড়িয়ে দেয়াসহ মাওলানা এম হাসিবুর রহমানের প্রাইভেট কারটিও ভাংচুর করে হামলাকারীরা।
এই সন্ত্রাসী ঘটনার বিবরন দিতে গিয়ে মাওলানা হাসিবুর রহমান তার ফেইসবুক ষ্টাটাসে উল্লেখ্য করেন যে, মাহফিলে ঐ এলাকার একজন স্বঘোষিত চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে যখন হামলা হলো, তখন উপস্থিত হাজার হাজার জনতা ক্ষুব্ধ হয়ে গেলে পরিবেশ ঘোলাটে হওয়ার আশঙ্কায় আমি সাথে সাথে মোনাজাত দিয়ে মাহফিল শেষ করি।
অতঃপর আমি স্টেইজ থেকে নেমে নিরাপত্তার স্বার্থে পুলিশে ফোন করে পুলিশ প্রটেকশন চাই। এরই মধ্যে স্বঘোষিত এই গুণ্ডা চেয়ারম্যান তার লালিত পালিত গুণ্ডাদেরকে নিয়ে এলাকায় বিভিন্ন গাড়ি পুড়িয়ে দেয়াসহ মাহফিলে আগত বহু লোককে আক্রমণ করেছে। পুলিশ আসতে আসতে তারা আমার গাড়িও ভাংচুর করেছে। অবশেষে পুলিশের ভাইয়েরা আমাকে নিরাপত্তা দিয়ে আমার লোকজনসহ আমাকে নিরাপদ স্থানে পৌঁছে দিয়েছেন। তিনি তার ষ্টাটাসে আরো লিখেছেন, এমন জানোয়াররুপী লোকেরা জনপ্রতিনিধি হয় কী করে?এদেরকে কারা লালন-পালন করে?এরা মাফিয়াতন্ত্র ক্বায়েম করে জনগণের সেবক না হয়ে শোষকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে।
এদিকে পরিচয় গোপন রাখার শর্তে এলাকার স্থানীয়রা জানায়, কুরআনের মাহফিলে হামলাকারী ব্যক্তি হলেন, নিজাম উদ্দিন শামিম, সে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও স্বেচ্ছাসেবী লীগের সভাপতি ও লাকসাম গোবিন্দপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান।