আরফানুর রহমান:-
দেশ এখন উন্নয়নের মহাসড়ক অতিক্রম করছেন। শিল্পায়নে বাংলাদেশ এখন বিশ্ব দুয়ারে অন্যতম প্রতিদ্ধন্ধী, বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার গঠনের পর দেশ আজ যে উন্নত শিহরে দাড়িয়েছে যা দৃশ্যমান, অচিরেই আমরা উন্নত দেশ হিসেবে মর্যাদা লাভ করব। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মায়াবী হাতের স্পর্শে প্রগতি ইন্ডাষ্ট্রিজ লিঃ কে ১৯৭২ সালে জাতীয়করণের মাধ্যমে যে নবসূচনার দ্বার খুলে দিয়েছিলেন আজ সেই প্রগতি ইন্ডাষ্ট্রিজ শিল্পায়নে দেশে অগ্রণী ভূমিকা রাখতে
স্বক্ষম ও বদ্ধপরিকর বলে মন্তব্য করেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহামুদ হুমায়ুন এম,পি।
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীনে রাষ্ট্রয়াত্ব শিল্প প্রতিষ্ঠান প্রগতি ইন্ডাষ্ট্রিজ লিঃ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃতৌহিদুজ্জামান এর সভাপতিত্বে চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রি (ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার) এর
সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্যে রাখেন বিএসইসি’র চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান।
সভাপতির বক্তব্যে মোঃ তৌহিজ্জামান বলেন দেশের গাড়ী সংযোজন খাতে প্রগতি একমাত্র শতভাগ রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান, বঙ্গবন্ধু জাতীকে স্থানীয়ভাবে গাড়ী সংযোজন ও উৎপাদনে স্বনির্ভরতা অর্জনের স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে প্রাথমিকভাবে যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশের পণ্য ও গণ পরিবহণ খাত পূণঃগঠনের গুরু দায়িত্ব পড়ে প্রগতির উপর। তাই প্রগতি এককভাবে সরকারি-
বেসরকারি খাতে দ্রুততার সাথে ৪৫০০ গাড়ী সরবরাহ করে একদিকে সড়ক পরিবহন খাতকে
সমৃদ্ধ করেছে অন্যদিকে দেশের অর্থনৈতিক ও আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে অবদান রেখে
আসছে এবং বিগত কয়েক বছর যাবৎ গড়ে প্রায় ১৭০.০০ কোটি টাকা হারে সরকারকে রাজস্ব প্রদান করে আসছে প্রগতি ইন্ডাষ্ট্রিজ ।
প্রগতির ব্যবস্থাপক (প্রশাসন) ও প্রশাসন বিভাগীয় প্রধান জনাব মোঃ আবদুল খালেকের
পরিচালনায় আলোচনায় বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত প্রধান হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা ও হিসাব
বিভাগীয় প্রধান, মোঃ রেজাউল করিম, ব্যবস্থাপক (ক্রয়), মোহাম্মদ আবু সাঈম, ব্যবস্থাপক (বিক্রয়) ও সভাপতি, অফিঃ এসোসিয়েশন, মোঃ সাইদুর রহমান জামালী, উপ-প্রধান প্রকৌশলী (যান্ত্রিক) ও ইনচার্জ কারখানা, কায়কোবাদ আল মামুন, সিবিএ কার্য নিবার্হী সভাপতি, মোঃ রাফিক, সাধারণ সম্পাদক মোঃ আলাউদ্দিন সহ প্রমূখ।
বিএসইসি’র চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান (অতিঃ সচিব) বলেন প্রগতি প্রতিষ্ঠার সুদীর্ঘ ৫২ বছর অতিক্রম হয়েছে। পুরাতন ম্যানুয়েল পদ্ধতির উৎপাদন ব্যবস্থার পরিবর্তে বিশ্বমানের আধুনিক অটোমেটিক এ্যাসেম্বলী প্ল্যান্ট স্থাপন, ঢাকার তেজগাঁও এপিআইএল’র মালিকানাধীন ১.৫০ একর জায়গায় ৩৮৬.৮২ কোটি টাকা নিজস্ব অর্থায়নে একটি অত্যাধুনিক ওয়ার্কসপ সার্ভিসসেন্টারসমেত তিন বেইজমেন্টসহ ৩৭(সাইত্রিশ) তলাবিশিষ্ট ভিত্তির উপর আপাততঃ ১৪(চৌদ্দ) তলা বাণিজ্যিক ভবন নির্মাণ, সকল বিভাগীয় শহরে আধুনিক সার্ভিস সেন্টার ও শো-রুম স্থাপন, মিরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চল থেকে ৫০ একর জমি লীজ নিয়ে যন্ত্রাংশ উৎপাদন কারখানা স্থাপন, চট্টগ্রামের নাসিরাবাদে প্রগতির খরিদকৃত ৪.৩১ একর জমিতে গাড়ীর যন্ত্রাংশ তৈরীর কারখানা স্থাপনসহ কয়েকটি মেগা পরিকল্পনা বাস্তবায়ন প্রক্রিয়াধীন আছে। এগুলোর মধ্যে বগুড়া ও খুলনায় সার্ভিস সেন্টার,শো-রুম ও অফিস স্থাপনের কাজ চলমান আছে। উক্ত পরিকল্পনাসমূহ বাস্তবায়িত হলে বিপুল পরিমান কর্মসংস্থান সৃষ্টিসহ প্রগতির ব্যবসা বহুগুন সম্প্রসারিত হবে। সমাপনী বক্তব্যে প্রগতির ব্যবস্থাপনা পরিচালক আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, নতুন সংযোজন কারখানাটি স্থাপিত হওয়ার পরবর্তী ০২(দুই) বছরের মধ্যে
স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত যন্ত্রাংশ সংযোজনের মাধ্যমে উবষবঃরড়হ গবঃযড়ফ এ পিআইএল-কে
প্রগ্রেসিভ ম্যানুফ্যাচারিং এ উত্তরণ এবং পরবর্তী ৭(সাত) বছরের মধ্যে
ম্যানুফ্যাকচারিং প্ল্যান্টে উন্নীত করা সম্ভব হবে এবং আগামী এপ্রিল’২০২০ সালে
বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু করা যাবে বলে আশা করা যায়।