নিজস্ব প্রতিবেদক :-
চট্রগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার ০৯নং ভাটিয়ারী ইউনিয়নের মাদামবিবির হাট এলাকায় কনফিডেন্স সিমেন্ট ফ্যাক্টরীর মেইন গেইটে ডান পাশে অবস্থিত সরকারী হাইওয়ের রোড দখল করে চলছে জমজমাট জুুুুয়ার আসর। ঐ এলাকার মো:নুর বাদল নামের এক ব্যক্তি টিনের ঘর বানিয়ে পিছনে ২টি রুমে রাত-দিন ২৪ ঘন্টাই জমজমাট জুুুুয়ার ব্যবসা করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আইনের তোয়াক্কা না করে প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে এই অবৈধ ব্যবসা চালাচ্ছে তিনি। এ যেন শুভঙ্করের ফাঁকি।
গোপন সূত্রে জানা গেছে, জুয়ার আসরে চলে তিন তাস,কাইট,হাজারীসহ বিভিন্ন আইটেমের টাকার খেলা। যাতে প্রতিদিন লাখ লাখ টাকার কারবার চলছে। এতে ধ্বংস হচ্ছে এলাকার তরুন তথা যুব সমাজ। জুয়ার নেশায় লোভ সামলাতে না পেরে অনেকেই পথে বসছেন এবং টাকা পয়সা হারিয়ে নিস্ব হচ্ছে।
উক্ত ঘরে জুয়ার আসরে তালিকা ভুক্ত সন্ত্রাসী,এলাকার মাস্তান,পেশাদার ছিনতাইকারী,ছিটকে চোর থেকে শুরু করে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা এমনকি দিন মজুর ও অংশগ্রহন করছে। বাদলের জুয়ার আসর কে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে একাধিক মাদকের স্পট। চলছে নির্বিঘ্নে মাদক বেচাকেনা। রাত হলে মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবন কারীদের আনাগোনা দেখা যায়। সমাজে উঠতি বয়সিরা জুয়া ও নেশায় আসক্ত হয়ে পড়ছে। দেখা যায় দীর্ঘ দিন ধরে অত্র এলাকার জুয়ার আসর বসলেও প্রশাসনের নিরব ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন এলাকার সুশীল সমাজ। নাম প্রকাশ করতে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি বলেন, আমরা বিগত সময়ে বেশ কয়েকবার জুয়ার আসরটি বন্ধ করতে চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হয়েছি।
কিন্তু কিছু অসাধু কর্মকতা কে ম্যানেজ করে এই সকল জুয়ার আসর চালাচ্ছে। এই সমস্ত জুয়ার আসরের জন্য এলাকার তরুন ও যুব সমাজ মারাত্মক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। আবার জুয়ার আসরকে ঘিরে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের আনাগোনা বেড়ে যায়।
জানা গেছে, সীতাকুণ্ড থানা এলাকায় এই সমস্ত জুয়া বসে সন্ধ্যার পর। আবার কোনো কোনো সময় রাত-দিন ২৪ ঘন্টাই জুয়া চলে। সূত্র জানায়,জুয়াটি নুর বাদল গত ২ মাস আগে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর আইনে ১০০পিস ইয়াবা নিয়ে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয় এবং জেল থেকে ছাড়া পায়। গত ০৪/১২/২০১৮ ইং সালে নুর বাদলের আপন ছোট ভাই নুর উদ্দিন এর নামে সীতাকুণ্ড থানায় একটি মামলা হয়। এই জুয়ার আসর বসান স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তি নুর বাদল ও তার আপন ছোট ভাই নুর উদ্দিন। অপর একটি সুত্র জানায়,রাত গভীর হলেই সীতাকুণ্ড থানার এলাকায় বিভিন্ন বাসা-বাড়ীতে বসছে লাখ লাখ টাকার জুয়ার আসর। ওয়ান-চেন,ওয়ান-এইট,তিন তাস,নয় তাস,নয় তাস,কাটাকাটি,নিপুন ইত্যাদি নানান নামে জুয়ার লোভ সামলাতে না পেরে অনেকেই পথে বসছেন। ভুক্তভোগীরা সর্বস্বান্ত হলেও জুয়ার নামে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে আয়োজক চক্র।
অথচ আইন অনুযায়ী দন্ডনীয় অপরাধ হলেও অভিযোগ রযেছে একাধিক।
সাধারণ মানুষ বলেন প্রশাসনের উচিত অত্র এলাকা হতে এই সমস্ত জুয়া ও মাদকের আসর উচ্ছেদ করা হোক। এসব জুয়ার ঘর গুলো দ্বারা অনেক পরিবার ধংস হচ্ছে। অনেকের সাজানো সুখের সংসার ভেঁঙ্গে যাচ্ছে। এই জুয়ার আসর বন্ধ হলে বেঁচে যাবে হাজার পরিবার।