নিজস্ব প্রতিবেদক :-
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের আশ্বাসে আশ্বস্থ হয়ে চলমান ধর্মঘট প্রত্যাহারের ঘোষণা দিলেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় গণ ও
পণ্য পরিবহন মালিক ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক মঞ্জুরুল আলম চৌধুরী । আজ রোববার
বিকেলে সার্কিট হাউজে এই ধর্মঘট প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন। পরিষদের আহবায়ক বলেন, সিটি মেয়র আমাদেরকে আশ্বাস দিয়েছেন আমাদের দাবীগুলো যৌক্তিক। এ যৌক্তিক দাবীগুলো নিয়ে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে তিনি মন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলবেন। তার আশ্বাসের কারণে আমরা পরিবহন ধর্মঘট প্রত্যাহার করেছি।
এ প্রসঙ্গে তিনি আরো বলেন, আগামী ১১ সেপ্টেম্বর সিটি মেয়র ঢাকায় যাবেন। বিষয়টি নিয়ে তিনি যোগাযোগ মন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলাপ আলোচনা করে পরবর্তীতে ঢাকার সিদ্ধান্তগুলো যানবাহন সেক্টরের নেতৃবৃন্দের সাথে আলাপক্রমে
তা বাস্তবায়নে উদ্যোগী হবেন। এ ব্যাপারে মেয়রের সাথে তাদের একটি টিম ঢাকায় যাওয়ার কথা বলেন জনাব মঞ্জু।
৯ দফা দাবিতে আজ রোববার ভোর থেকে চট্টগ্রাম
বিভাগীয় গণ ও পণ্য পরিবহন মালিক ঐক্য পরিষদের ডাকা অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘট শুরু হয়। চট্টগ্রাম বিভাগীয় গণ ও পণ্য পরিবহন মালিক ঐক্য পরিষদের দাবীর মধ্যে গণ ও পণ্য পরিবহনের কাগজপত্র হালনাগাদ করার জন্য জরিমানা মওকুফ করা, জরিমানা মওকুফের সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত কাগজপত্র যাচাই বাছাইয়ের নামে হয়রানি বন্ধ করা, বিআরটিএ ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক ভোক্তা অধিকার আইন প্রয়োগ করে গণ ও পণ্য পরিবহনে কোনও অতিরিক্ত জরিমানা আদায় না করা, হাইওয়ে ও থানা পুলিশ কর্তৃক গাড়ি জব্দ ও রিকুইজিশন বন্ধ করা, চট্টগ্রাম মেট্টো-এলাকায় গাড়ির ইকোনোমিক লাইফের অজুহাত দেখিয়ে ফিটনেস ও পারমিট নবায়ন বন্ধ না রাখা, ট্রাফিক পুলিশ কর্তৃক যান্ত্রিক ক্রুটিযুক্ত গাড়ি ছাড়া অন্যকোন অজুহাত দেখিয়ে গণ ও পণ্য পরিবহন টু বা ডাম্পিং না করা, ড্রাইভার কর্তৃক চালিত গাড়ির রেকার ভাড়া আদায় না করা, সহজ শর্তে চালকদের ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদান করা ও কাগজপত্র হালনাগাদের ক্ষেত্রে বিআরটিএর কার্যক্রমে ভোগান্তি বন্ধ করা।
ধর্মঘটের কারণে নগরে গণপরিবহন সংকট দেখা দেয়। ফলে চাকরীজীবী ও শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগে পড়তে হয়। এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন গোলাম রসুল বাবুল, হাজী জুহুর আহম্মদ, মাহবুবুল হক ভূইয়া, নুরুল ইসলাম চৌধুরী, গোলাম নবী, মো. ইউনুছ, আবদুল লতিফ, পুলিশ প্রশাসনের এডিসি নাজমুল, জেলা পরিষদের এডিশনাল এসপি (সদর) এমরান ভূইয়া, এডিএম।