কামাল হোসেন:-
কুলাঙ্গার সন্তানরা যখন ঘরের বেহেশত রাস্তায় ফেলে রাখে স্বপ্নযাত্রীর স্বপ্নবাজরা সেই বেহেশত রাস্তা থেকে কুড়িয়ে পরম যত্নে চিকিৎসা করে,সেবা যত্ন করে সুস্থ করে বৃদ্ধাশ্রম বা পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেন।
অজ্ঞাত এই বৃদ্ধটি প্রায় ২২ দিন ধরে জালালাবাদ রেলস্টেশনে অনাহারে, অযত্নে অবহেলায় পড়ে ছিল। স্থানীয় একজনের স্ট্যাটাস দেখে সেটি টিম স্বপ্নযাত্রীর নজরে আনেন প্রবাসী সদস্য হেলাল। তখনি সব কাজ ফেলে জাদুরাজ নাইম ছুটে যান ঘটনাস্থলে। যিনি ইতোমধ্যে বৃদ্ধ আবদুর রহমান চাচাসহ অনেক অজ্ঞাত বৃদ্ধের সেবা করে আলোচিত ও প্রশংসিত হয়েছেন। সাথে ছিলেন স্বপ্নযাত্রীর অন্যতম সদস্য আবিদ, শিহাব ও জহির।
তৎক্ষনাৎ বৃদ্ধ বাবাটিকে গোসল করিয়ে, উষ্ণ জামা পরিয়ে, খাওয়ার খাওয়ায়। আশে পাশের সকলে অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকে এমন নিঃস্বার্থবান মানুষ দুনিয়াতে আছে নাকি! ফেসবুকে পোষ্ট দেখে আনোয়ার এর মেনশনে আলহাজ্ব শামসুল হক ফাউন্ডেশনের সহযোগীতায় এ্যাম্বুলেন্স এর মাধ্যমে চট্টগ্রাম মেডিকেল এনে ভর্তি করানো হয় সাথে সাথে। তখন ডাক্তারদের সহযোগিতা সত্যি প্রশংসার যোগ্য।
অবাকের বিষয় যখন স্বপ্নবাজরা বৃদ্ধ বাবাটিকে প্রথম দেখেন তখন তার মাথার নিছে ছিল একটা ইট যার উপর তিনি মাথাটা রেখেছিলেন, তার জামাকাপড় সব ময়লা ছিল, যেহেতু তিনি চলাচলে অক্ষম তার প্রশ্রাব পায়খানা সব শায়িত অবস্থায় করতেন তাই গন্ধে কেউ কাছে আসতো না।
কিন্তু স্বপ্নবাজদের উপস্থিতিতে সব পরিষ্কার করার পর যখন তাকে এ্যাম্বুলেন্সে উঠানো হয় তখন তার দু চোখে নেমে আসে শান্তির ঘুম।
হয়তো অনেক দিন ধরেই তিনি এমন শান্তির নীড় খুঁজে বেড়াচ্ছিলেন???ভাবতে ভাল লাগছে ফুটপাতে বিবস্ত্র অবস্থায় পড়ে থাকতে হবে না এই অসহায় বাবাকে।
বর্তমানে তিনি চট্টগ্রাম মেডিকেল হাসপাতালের ৩য় তলার ১৬ নাম্বার ওয়ার্ডে ভর্তি আছেন। স্বপ্নবাজরা তার পাশেই সবসময় তার দেখাশোনা করছেন। কাপড়, চিকিৎসা, ঔষুধ সব কিছুর ব্যবস্থা করেছেন সদস্যরা। যদিও আর্থিক সংকট রয়েছে তবু সকলে সহযোগিতা করলে এই মহান কাজে সফল হওয়া সম্ভব হবে।।
যারা শারিরীক,মানসিক ও আর্থিক সহযোগিতা করেছেন সকলের নিকট কৃতজ্ঞ জানিয়েছেন টিম স্বপ্নযাত্রী।