মো: আব্দুল কাদের রাজু:-
হায়রে আমার দেশ, একবুক জ্বালা নিয়ে কেন আজ কাঁদছে সারা বাংলাদেশ, কত রক্তের বিনিময়ে কত মায়ের বুক খালি করে এ দেশ স্বাধীন হয়েছিল, আজ এ কি দেখছি আমরা ? আফসোস, একটু না বললেও নয়, ১৯৯৮ সালে জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ে বাসর ঘর সাজিয়ে প্রতি রাতে একজন ছাত্রীকে ধর্ষণ করা হত, এই ভাবে একশত জন ধর্ষণ করার পর বিশ্ববিদ্যালয়ে মিষ্টি বিতরণ করে উল্লাস করেছিল ছাত্রলীগ নেতা নামক সোনার ছেলে জসিমউদদীন মানিক। মানিকের একটি বিচার হয়েছিল, কিন্তু ফাঁসি হয় নি। দিবালোকে রামদা দিয়ে জনসম্মুখে খাদিজাকে কুপিয়ে তার মাথা কয়েক ভাগ করেছিল সিলেটের বদরুল। খাদিজার ভাগ্য ভালো মরতে মরতে বেঁচে গেছে, বদরুলেরও একটা বিচার হয়েছে কিন্তু ফাঁসি হয় নি, সংরক্ষিত এলাকা কুমিল্লা ক্যান্টেনমেন্ট এর ভিতরে তনুকে ধর্ষণ করার পর হত্যা করা হয়, কে বা কারা জড়িত তা কিন্তু গোয়েন্দা বাহিনী ভালো করে জানার কথা, কিন্তু আজ পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হয় নি। ২০১৮ সালে বরিশালের বানারীপাড়ায় মা মেয়েকে একসাথে ধর্ষণ করে মাথা নেঁড়া করে দেয় প্রভাবশালী তুফান। তুফানেরও একটা বিচার হয়েছিল কিন্তু ফাঁসি হয় নি । ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮ সালে নোয়াখালীর সুবর্নচরে দিনের বেলায় যুবতী মেয়ের সামনে তার মাকে দল বেঁধে ধর্ষণ করার পর প্রহার করা হয়, ১৮ কোটি মানুষ সাক্ষী, ধর্ষক রুহুল আমিনের ফাঁসির দাবী উঠলেও ফাঁসি কিন্তু হয় নি। আর কত লিখবো, শত শত কলমের কালি শেষ হয়ে যাবে ধর্ষণের লেখা শেষ হবে না, এভাবে আরও কত ধর্ষণ হচ্ছে। কে রাখে কার খবর, কত মা বোনেরা হাসপাতালের বেডে যন্ত্রণায় মৃত্যুর প্রহর গুনছে, এই স্বাধীন দেশের ১৮ কোটি মানুষ আজ লজ্জিত, আর কতটা ধর্ষণ হলে দেশ, দেশের মানুষ ও রাষ্ট্রের সম্বিত ফিরে আসবে তা হয়ত আমরা জানি না, কবে আমাদের মনুষ্যত্ব ফিরে আসবে, ফিরে আসবে বিবেক……